ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

শ্রীপুরে মেয়েকে বেচে দিলেন মা, বাবার অভিযোগে উদ্ধার করলো পুলিশ

প্রকাশিত: ১৩:১৪, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

শ্রীপুরে মেয়েকে বেচে দিলেন মা, বাবার অভিযোগে উদ্ধার করলো পুলিশ

গাজীপুরের শ্রীপুরে স্বামীর অগোচরে ছয় মাস বয়সী কন্যা সন্তানকে পাঁচ লাখ টাকায় বেচে দিয়েছিলেন শামীমা আক্তার (২৪) নামে এক নারী। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও স্ত্রী-সন্তানের হদিস না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন স্বামী জাহিদুল ইসলাম। আদালতের আদেশে পুলিশ তৎপর হয়ে দুই মাস পর উদ্ধার করেছে শিশুটিকে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে শামীমা ও শিশুটির ক্রেতা নুরুজ্জামানকেও (৪৫)।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতে মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে শিশুটিকে উদ্ধার করে বাবার কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
শামীমা বগুড়া সদর উপজেলার শাহীন মিয়ার মেয়ে। আর নুরুজ্জামান নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার কাজীরচর গ্রামের বাসিন্দা। শিশুটির বাবা জাহিদুল ইসলাম গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কর্নপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জাহিদুল জানান, শামীমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের পর ২০১৯ সালে তারা বিয়ে করেন। থাকছিলেন জাহিদুলের শ্রীপুরের কর্নপুরের বাড়িতে। গত বছরের ডিসেম্বরে তাদের ঘর আলোকিত করে আসে ওই কন্যা সন্তান। সন্তানের ছয় মাস বয়সে চাকরির জন্য নরসিংদীতে চলে যান জাহিদুল। ১২ জুন শিশুটিকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান শামীমা। এরপর মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপন করেন তিনি।
খবর পেয়ে সন্তান ও স্ত্রীকে খুঁজতে থাকেন জাহিদুল। দুই মাসেও তাদের সন্ধান না পেয়ে তিনি গাজীপুর আদালতে অভিযোগ করেন। আদালত শ্রীপুর থানাকে মামলা গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
জাহিদুলের অভিযোগ, তাদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তার অনুপস্থিতিতে সম্পর্ক ভাঙতেই তারা (শ্বশুরবাড়ির লোকেরা) শিশুটিকে বিক্রির পরামর্শ দেন শামীমাকে। তাদের কথা মতোই পাঁচ লাখ টাকায় কন্যা শিশুটিকে নুরুজ্জামানের কাছে বেচে দেন শামীমা।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অংকুর কুমার ভট্টাচার্য বলেন, শিশুটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে ১০ সেপ্টেম্বর শ্রীপুর থানায় মামলা রুজু হয়। পরে তার বাবাকে সঙ্গে নিয়ে রোববার রাতে নরসিংদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুর মা ও নুরুজ্জামানকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ।

গাজীপুর কথা