ঢাকা,  রোববার  ১৬ জুন ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

হাসপাতাল-ক্লিনিকের লাইসেন্স নিতে রিটার্ন বাধ্যতামূলক হচ্ছে

প্রকাশিত: ২৩:৩৭, ২২ মে ২০২৪

হাসপাতাল-ক্লিনিকের লাইসেন্স নিতে রিটার্ন বাধ্যতামূলক হচ্ছে

ফাইল ছবি

হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স গ্রহণ ও নবায়ন করতে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যবাধকতামূলক করা হচ্ছে। আগামী ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাকালে ফিন্যান্স বিল বা নতুন আয়কর আইনের মাধ্যমে এ বিধান যুক্ত করা হতে পারে।

বিদ্যমান ৪৩ ধরনের সেবার বাইরে নতুন করে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ওপর ব্যবসা পরিচালনর ক্ষেত্রে ‘প্রুফ অব সাবমিশন অব রিটার্ন’ বা পিএসআর বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, করের আওতা বাড়ানোর মাধ্যমে কর আদায় বাড়াতে এনবিআরের ওপর চাপ রয়েছে। এ লক্ষ্যে গত দুই-তিন বছরে বিপুলসংখ্যক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা টিআইএন রেজিস্ট্রেশনের আওতায় এনেছে এনবিআর। তবে টিআইএনের আওতায় আনা হলেও রিটার্ন জমায় কাক্সিক্ষত সাড়া মিলছিল না। এরপর চলতি বছরে ৪৩টি খাতের সেবা নেওয়ার সময় রিটার্ন জমার প্রমাণ বা পিএসআর দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়। এর ফলে এ বছর

বিপুলসংখ্যক মানুষ কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নিচ্ছেন। তবে তাতেও রিটার্ন জমার ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়নি।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো টিআইএনধারীর সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়েছে। ওই দিন শেষে টিআইএনধারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১ কোটি ৩ হাজার ৮৪৪। টিআইন সংখ্যা বাড়লেও সে অনুপাতে বাড়ছে না আয়কর বিবরণীর সংখ্যা। এ জন্যই এনবিআর বিভিন্ন ক্ষেত্রে আয়কর বিবরণী বাধ্যতামূলক করছে। গত বছর ছয়টি খাতে নতুন করে কর বিবরণী জমা বাধ্যতামূলক করে। আগে ৩৮টি সেবার বিপরীতে এটি বাধ্যতামূলক ছিল।

বর্তমানে ৪৩টি সেবার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ২০ লাখ টাকার বেশি ঋণ আবেদন করলে; পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনলে; ক্রেডিট কার্ড নিলে; কোনো কোম্পানির পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার হলে; ব্যবসায় সমিতির সদস্য হলে; কারও সন্তান বা পোষ্য ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করলে; অস্ত্রের লাইসেন্স নিলে; উপজেলা, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হলে; চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি, সনদপ্রাপ্ত হিসাববিদ হিসেবে কাজ করলে; ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ ও নবায়ন করলে; স্ট্যাম্প, কোর্ট ফি ও কার্টিজ পেপারে ভেন্ডার বা দলিল লেখক হিসেবে নিবন্ধন, লাইসেন্স বা তালিকাভুক্ত হতে চাইলে; ভবনের নকশার আবেদন দাখিলকালে।