ঢাকা,  শনিবার  ২৭ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

বর্ষার রোগবালাই

প্রকাশিত: ১৬:৫১, ২২ জুন ২০২৩

বর্ষার রোগবালাই

প্রতীকী ছবি

প্রবল গরম থেকে শান্তির পরশ নিয়ে প্রকৃতিতে এসেছে বর্ষা। বর্ষাকাল মানেই নানা ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব। বর্ষাকালে অধিকাংশ রোগই হয় দূষিত পানি পান থেকে। এ ছাড়া বাড়ে মশাবাহিত রোগও । এ কারণে সাবধান থাকা প্রয়োজন।

বর্ষাকালে যেসব রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে

ম্যালেরিয়া: অ্যানোফিলিস জাতীয় মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ায়। বর্ষাকালে অনেক স্থানে পানি জমে থাকার কারণে মশার বংশবিস্তার হয়। এর ফলে ম্যালেরিয়া রোগেরও প্রাদুর্ভাব বাড়ে। ম্যালেরিয়ার লক্ষণগুলো হলো জ্বর, শরীর ব্যথা, ঠান্ডা লাগা এবং প্রচুর ঘাম হওয়া। ম্যালেরিয়া এড়াতে, বাড়ির কাছে যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক থাকুন। মশার কামড় থেকে বাঁচতে বিভিন্ন ধরনের মশানিরোধক ক্রিম ব্যবহার করুন। ঘুমানোর সময় মশারি টানান।
ঠান্ডা লাগা এবং ফ্লু: বর্ষার সময় তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন হওয়ায় ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাল সংক্রমণ বেড়ে যায়। এর ফলে ঠান্ডা এবং ফ্লু হয়। এ কারণে রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়াতে বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।

ডেঙ্গু: বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। ডেঙ্গু হলে জ্বর, ফুসকুড়ি, মাথাব্যথা দেখা দেয়। সেই সঙ্গে রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা কমে। মশার কামড় থেকে বাঁচতে ফুলহাতা জামা পরার চেষ্টা করুন।

চিকুনগুনিয়া: চিকুনগুনিয়াও একটি মশাবাহিত রোগ। এর লক্ষণগুলো হলো অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, ক্লান্তি, ঠান্ডা লাগা এবং জ্বর। চিকুনগুনিয়া থেকে বাঁচতে বাড়ির আশপাশে যেন পানি না জমে সেদিকে
লক্ষ্য রাখুন।

এ ছাড়া ডায়রিয়া, আমাশয়সহ পেটের নানা সমস্যা দেখা দেয় বর্ষাকালে।

সুস্থ থাকতে কী করবেন
বর্ষাকালে পানি পানের আগে সাবধান হওয়া জরুরি। কারণ এই পানি দূষণ মারাত্মক আকার নেয়। সেই কারণে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। এ সময় প্রচুর পানি পান করতে হবে। জীবাণুর হাত থেকে বাঁচতে খাবার আগে পরিষ্কার করে হাত ধুয়ে নেওয়া উচিত। বাইরে থেকে এলে হাত আর পা ধুয়ে ফেলতে হবে। জামাকাপড়ও পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। বর্ষাকালে শাকসবজি অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে তারপর রান্না করুন। বর্ষাকালে বাড়ির চারপাশে ময়লা বা নোংরা আবর্জনা জমতে দেবেন না। পানি বের করার ব্যবস্থা করুন। তা না হলে রোগবহনকারী পোকামাকড়ের সমস্যা বাড়তে পারে। বর্ষাকালে ছত্রাকের সম্ভাবনা বাড়ে। এ কারণে রাস্তার খাবার না খাওয়াই ভালো। গরম খাবার খান। টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। না হলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

লেখক: সহকারী রেজিস্ট্রার (মেডিসিন), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর