৭ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দিল মিয়ানমারের জান্তা সরকার

সামরিক আদালতে সাতজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, বুধবার (৩০ নভেম্বর) এ দণ্ড দেয়া হয়। এই সাতজন নিয়ে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর হাতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ১৩৯ জনে দাঁড়াল। এই মৃত্যুদণ্ড নিয়ে কোন মন্তব্য করেনি জান্তা সরকার।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে জানান, রুদ্ধদ্বার আদালতে সাতজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়। সামরিক সরকার বিরোধীদের দমন করতে এবং তাদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্যে মৃত্যুদণ্ড ব্যবহার করছে।

তিনি আসিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই মানবতাবিরোধী কাজ রুখতে আহ্বান জানান। তুর্ক আরও জানান, এই ধরনের বিচার মাত্র কয়েক মিনিটে শেষ করে জান্তা সরকারের আদালত। এই সময় 'তথাকথিত' অপরাধীদের সঙ্গে তাদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করতে দেয়া হয়নি।

দেশটির স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে,  ইয়াঙ্গুনভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীদের এ বছরের এপ্রিল মাসে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে একটি ব্যাংকে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। ড্যাগন ইউনিভার্সিটির ছাত্র ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে বলেছে, 'ছাত্রদের ওপর মৃত্যুদণ্ড আরোপ করা সামরিক বাহিনীর প্রতিশোধমূলক কাজ।' 

২০২১ সালের জানুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতা দখলে নেয় সামরিক জান্তা। এর পর থেকে দেশটিতে সংঘাত ও বিশৃঙ্খলা চলছেই। স্থানীয় এক পর্যবেক্ষক সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিরোধীদের দমনে সামরিক জান্তার হাতে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ২৮০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। বন্দি অবস্থায় রয়েছেন ১১ হাজার ৬৩৭ জন।