ঢাকা,  শনিবার  ২৭ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে মানুষ সন্তুষ্ট: গবেষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৪১, ১ জুন ২০২৩

কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে মানুষ সন্তুষ্ট: গবেষণা

ছবি: সংগৃহীত

দেশের স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক ভূমিকা রাখছে। এর মাধ্যমে নেওয়া সেবায় সন্তুষ্ট সাধারণ মানুষ। এছাড়া এর গুণগত মানও ভালো।

বুধবার (৩১ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিল্টন হলে ‘অ্যাসেসমেন্ট অফ দ্য কমিউনিটি ক্লিনিকস সাপোর্টেড বাই মাল্টিপারপাস হেলথ ভলানটিয়ারস: ইফেক্টস অন সার্ভিস ডেলিভারি, কোয়ালিটি অ্যান্ড ইউটিলাইজেশন অফ সার্ভিসেস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এক গবেষণার ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিএসএমএমইউ ও কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার অপারেশনাল প্ল্যানের উদ্যোগে এ গবেষণা পরিচালিত হয়। এতে প্রধান গবেষণা হিসেবে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেন পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক।

অনুষ্ঠানে সম্প্রীতি জাতিসংঘে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ নামে কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা প্রস্তাব আকারে গৃহীত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়।

পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক জানান, অধিকাংশ কমিউনিটি ক্লিনিক কেন্দ্রগুলোর অবস্থা সন্তোষজনক ছিল। কন্ট্রোল এলাকার সেবাগ্রহীতাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা পাওয়ার সুবিধা ভাল ছিল, কিন্তু তাদের এই সেবাগুলোর বিষয়ে সন্তুষ্টি কম ছিল। কন্ট্রোল এলাকার সেবাগ্রহীতাদের ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবাগুলোর প্রাপ্যতায় কিছুটা বাধা ছিল। এছাড়াও কন্ট্রোল এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীর সংখ্যা, উঠান বৈঠক, স্বাস্থ্যশিক্ষা সেশন, বাড়িকেন্দ্রিক সেবা, রেফার হওয়া রোগীর সংখ্যা, কমিউনিটি গ্রুপ সভা, কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ সভা এবং বার্ষিক কর্মপরিকল্পনার সংখ্যা কম ছিল।

তিনি জানান, প্রায় ৭০ শতাংশ কমিউনিটির জনগণ এমএইচভি সেবা সম্পর্কে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। প্রায় ৭০ শতাংশ এমএইচভি অনলাইন এবং অ্যাপভিত্তিক ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন।

ডা. আতিকুল হক আরও জানান, দেশের সব নাগরিকের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকার সারাদেশে প্রতি ৬০০০ মানুষের জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আমাদের এ গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ার (এমএইচভি) পরিষেবার মূল্যায়ন এবং যে এলাকায় এমএইচভি নেই সেখানে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যকারিতা বাড়ানো।

কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সম্মানিত সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, মানবিক গুণাবলির অধিকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম রাজনৈতিক দার্শনিক। কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থাও একটি দর্শন। আমাদের সবার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর দর্শনকে এগিয়ে নেওয়া ও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সম্প্রীতি জাতিসংঘে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ নামে কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা প্রস্তাব আকারে গৃহীত হয়েছে। বিশ্বের ৭০টি দেশ এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণা ও কার্যকারিতা বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হওয়ার পথ সুগম হলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ ভালো থাকে এবং থাকবে।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের বিষয়ে সতর্ক থাকবে হবে। তারা ক্ষমতায় গিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এটা খুবই দুঃখজনক। উপাচার্য তার বক্তব্যে জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে মোট বাজেটের ১০ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানান।

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের, এটা প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকেই বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর শাহানা পারভীন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, ডিন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান প্রমুখ।