ছবি: সংগৃহীত
চারিদিকে হলুদ আর হলুদ জার্সি! ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে পরিহিত আছে প্রিয় দলের আবেগমাখা পোশাক। হলুদ জার্সিবিহীন শিক্ষার্থী খুব কমই দেখা যায়। একদিকে জার্সি আরেক দিকে প্রিয় দলের হলুদ-সবুজ পতাকা উড়িয়ে চলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ব্রাজিলের সমর্থক শিক্ষার্থীরা।
নিজ ক্যাম্পাসে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ব্রাজিল ও সার্বিয়ার অনুষ্ঠিতব্য খেলাকে কেন্দ্র করে এসব আয়োজন করেছেন তারা।
এদিন বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকেই ব্রাজিল সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা দেখা গেছে। সকালবেলা থেকেই ক্যাম্পাসের শেখ রাসেল হল, স্বাধীনতা দিবস হল, বিজয় দিবস হলসহ প্রতিটি চত্বরে তারা বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ব্রাজিলের পতাকায় শোভিত করেছে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের প্রতিটি চত্বরে পেলে ও নেইমারসহ নানা ছবির ব্যানারে ফুটিয়ে তুলেছে। এছাড়াও সমর্থকদের মধ্যে নিজ দলের প্রচারণা ছড়াতে তারা প্রায় ৫০০ হ্যান্ড ফ্ল্যাগ বিতরণ করেন। এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এখন মুখ্য আলোচনায় পরিণত হয়েছে।
ব্রাজিল সমর্থকরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় তারা ক্যাম্পাসের জয় বাংলা চত্বর থেকে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করেন। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও শোভাযাত্রায় যোগ দেন। তারা নানা স্লোগান আর বাঁশির শব্দে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিভিন্ন স্লোগানে মেতে ওঠে ক্যাম্পাস।
রাতে সবাই একসঙ্গে খেলা দেখার জন্য শেখ রাসেল হল প্রাঙ্গণে প্রজেক্টের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান ব্রাজিল সমর্থকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ বলেন, ব্রাজিল ছোটবেলা থেকেই পছন্দের দল। বিগত বছরগুলোতে ঘরোয়া লীগগুলোতে বেশ কৃতিত্ব রয়েছে। তাতেই প্রমাণ হয় নতুন চমক দেখাবে ব্রাজিল।
ক্যাম্পাসের জয় বাংলা চত্বর।
বশেমুরবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিরাজ শিকদার বলেন, ব্রাজিল সবসময় নান্দনিক ফুটবল খেলে। তবে ২০১৪ বিশ্বকাপে নেইমারের সোনালি ট্রফির কাছে গিয়ে ও ছোঁয়া হয়নি। এ পর্যন্ত তারা পাঁচবার বিশ্বকাপ জয় করে নিজ জার্সিতে পাঁচটি তারা যুক্ত করেছে। আশাকরি এবার নেইমারের শৈল্পিক ও নান্দনিক যাদু দিয়ে বিশ্বকাপ জয় করে ছয়টি তারা যুক্ত করবেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে বিশ্বকাপ শুরুর প্রারম্ভে ব্রাজিল সমর্থকরা বিভিন্ন বিভাগে ‘ব্রাজিল ফ্যান ক্লাব’ গঠন করে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের প্রিয় দলের প্রচারণাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের বিভিন্ন রুমে পছন্দের দলের পতাকা টানান।
