ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সাবেক স্ত্রীর স্বামী মোস্তাকিমকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে আগের স্বামী মনির হোসেন।
সোমবার দুপুরে সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত মোস্তাকিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউপির বটতলী এলাকার সামছুল হকের ছেলে। মনির হোসেন সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।
আহত মোস্তাকিমকে প্রথমে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ২৭টি সেলাই দিতে হয়েছে। সাবেক স্ত্রীর স্বামীকে কুপিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছে মনির হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, গত ৭-৮ বছর আগে জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মনির হোসেন একই জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট গ্রামের শেফালি বেগমকে বিয়ে করেন। শেফালি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। বিয়ের পর শেফালিকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মধ্যপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন মনির হোসেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। মধ্যপাড়ায় থাকা অবস্থায় মনিরের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ফল ব্যবসায়ী মোস্তাকিম।
মনিরের অজান্তে বাসায় আসা-যাওয়া করতো মোস্তাকিম। গত বছরের ২৮ অক্টোবর শেফালিকে নিয়ে পালিয়ে যায় মোস্তাকিম। আজ দুপুরে মোস্তাকিম মোটরসাইকেল নিয়ে মনিরকে ধরে আনতে সরাইল যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোস্তাকিম কালীকচ্ছ গ্রামে পৌছামাত্র মনির তাকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসম্পর্ণ করে মনির।
এ ব্যাপারে শেফালি বলেন, ‘মনির আগে বিয়ে করেছিল। সে জুয়া খেলতো। আমি মনিরকে ডিভোর্স দিয়ে মোস্তাকিমকে বিয়ে করেছি। মোস্তাকিমও খারাপ মানুষ। সে আমার ভরণ পোষণ দেয় না। তারও আগের স্ত্রী সন্তান আছে। আমি দু’জনেরই বিচার চাই।’
হাসপাতালে আহত মোস্তাকিম বলেন, ৪-৫ মাস আগে আমি শেফালিকে বিয়ে করেছি। আজ শেফালির আগে স্বামী আমাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শিহাবুর রহমান বলেন, মনিরকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।
গাজীপুর কথা