এরা সবাই পেশাদার অপরাধী। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক, কোমরে পিস্তল ও ওয়াকিটকি আর হাতে হাতকড়া নিয়ে চলাফেরা করে। এ চক্রের সদস্যদের টার্গেটই থাকে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনকারীদের ধরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর শুধু রাজধানীতেই ভুয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দেয়া এ ধরনের শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি।
জানা গেছে, এ অপরাধী চক্রের সদস্যরা কখনো র্যাব, কখনো ডিবি অথবা অন্য কোনো বাহিনীর পরিচয় দিয়ে থাকেন। প্রকাশ্যেই তুলে নিচ্ছে টার্গেট ব্যক্তিকে। ছিনিয়ে নিচ্ছে টাকা-পয়সা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় ডাকাতি ছিনতাই বেড়েই চলেছে।
আর ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনকারীই তাদের প্রধান টার্গেট। ব্যাংকের ভেতরে থাকে একজন, বাইরে একাধিক সদস্য। টার্গেট ব্যক্তি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তুলে নেওয়া হয় গাড়িতে। পরিচয় দেওয়া হয় র্যাব অথবা ডিবি পুলিশের। রাজধানীতে এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়।
বেশিরভাগ সময়ই ছিনতাই বা ডাকাতির পর ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয় ভুয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। কখনো আবার ডাকাতির প্রস্তুতিকালেও পাকড়াও হতে দেখা যায়।
সম্প্রতি ডিবি পুলিশের একটি দল পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে। এরা ডিবি পুলিশ পরিচয়ে রাজধানীতে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছিল।
ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের উপকমিশনার (মতিঝিল বিভাগ) রিফাত রহমান শামীম বলেন, তারা যখন ডাকাতি করতে যাচ্ছিল তখন তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ডাকাত চক্রের সদস্যদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে তারা মূলত ব্যাংককে টার্গেট করে। যারা মূলত ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে তাদের।
অধিকাংশ সময় এদের কাছ থেকে খেলনা পিস্তল, ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়। বাহিনীর পোশাকটিও সত্যিকারের নয়। যদিও এসব দেখে সাধারণ মানুষের পক্ষে আসল নকলের ফারাক করা কঠিন। তবে মাঝে মাঝে সত্যিকারের আগ্নেয়াস্ত্রও ব্যবহার করে থাকে তারা।
রিফাত রহমান শামীম আরো বলেন, এ চক্রের সদস্যরা সবাই পেশাদার অপরাধী। জামিনে বের হয়ে তারা আবারও একই পেশায় জড়িয়ে পড়ে।
গাজীপুর কথা