ঢাকা,  বুধবার  ০৮ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

এলএসডি মাদকসহ গ্রেফতার ২ শিক্ষার্থী রিমান্ড শেষে কারাগারে

প্রকাশিত: ১৭:০১, ১ জুলাই ২০২১

এলএসডি মাদকসহ গ্রেফতার ২ শিক্ষার্থী রিমান্ড শেষে কারাগারে

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন লাভ রোড থেকে নতুন ধরনের ভয়ঙ্কর দুই মাদক এলএসডি ও ডিএমটিসহ গ্রেফতার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, সৈয়দ মঈন উদ্দিন আহমেদ ওরফে শাদাব ও স্বপ্নীল হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালত এই আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের দুজনকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গতকাল ৩০ জুন একই অভিযোগে গ্রেফতার আরও দুজন আব্রাহাম জোনায়েদ তাহের ও সিমিয়ন খন্দকারকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিনূর রহমানের আদালত আসামি সৈয়দ মঈন উদ্দিন আহমেদ ওরফে শাদাব ও স্বপ্নীল হোসেনের দুইদিনের রিমান্ড এবং আসামি আব্রাহাম জোনায়েদ তাহের ও সিমিয়ন খন্দকারের একদিন করে রিমান্ড মন্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন (শনিবার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন লাভ রোড থেকে এই চার যুবককে গ্রেফতার করেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এসময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৪০টি এলএসডি ব্লট, ৬০০ গ্রাম ডিএমটি ও ৬২ গ্রাম আমেরিকান ক্যানাবিজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

নতুন ধরনের মাদকগুলো সম্পর্কে বলা হয়েছে, এলএসডি (লাইসার্জিক এসিড ডায়াথ্যালামাইড) ও ডিএমটি (ডায়ামিথাইল ট্রিপট্যামাইন) জিহ্বার স্বাদে, ধোঁয়া বা ইনজেকশনের মাধ্যমে নেওয়া হয়। এটি সেবনের পর এক ধরনের হ্যালুসিনেশন তৈরি হয়, যা থেকে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।

র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক খন্দকার সাইফুল আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি অভিযানিক দল ও সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় অভিযান চালায়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে দুজন বিদেশে অবস্থানকালীন এসব মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে পড়ে।

এদের মধ্যে মঈন উদ্দিন আহমেদ রাজধানীর উত্তরার একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ও লেভেল শেষ করে ভারতের দার্জিলিং থেকে এ লেভেল সম্পন্ন করে। এরপর সে ২০১৫ সালে ব্যাংককের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়তে যায়। সেখানে গিয়েই সে এলএসডি ও ডিএমটি সেবনে আসক্ত হয়। দেশে এসেও সে বিভিন্ন পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে এলএসডি ও ডিএমটি মাদক এনে বন্ধুদের সঙ্গে সেবন করতো।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃত আব্রাহাম জোনায়েদ তাহের রাজধানীর একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে ও লেভেল শেষ করে মালয়েশিয়ায় যায়। সেখানে ২০১৫-১৬ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করে। পরবর্তীতে সে উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে যায়। সেখান থেকে এমবিএ শেষ করে ২০২০ সালে দেশে ফিরে আসে। জোনায়েদও যুক্তরাজ্যে পড়ার সময় এলএসডি ও ডিএমটি সেবনে আসক্ত হয়। দেশে ফিরেও আসক্তির কারণে বিদেশ থেকে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে এসব মাদক এনে সেবন ও বিক্রি করতো তারা।

র‌্যাবের একজন কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃত বাকি দুই তরুণ স্বপ্নীল ও সিমিয়ন খন্দকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এই চারজন একই চক্রের মাধ্যমে বিদেশ থেকে এলএসডি ও ডিএমটি মাদক বিদেশ থেকে এনে নিজেরা সেবন করার পাশাপাশি বিক্রি করতো।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন