ঢাকা,  শনিবার  ২৭ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

নারী চিকিৎসককে হত্যা: রেজার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৫ সেপ্টেম্বর

প্রকাশিত: ২০:৫৪, ১৩ আগস্ট ২০২২

নারী চিকিৎসককে হত্যা: রেজার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৫ সেপ্টেম্বর

জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিক ও মো. রেজাউল করিম রেজা

রাজধানীর পান্থপথের ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট নামের আবাসিক হোটেল থেকে সদ্য এমবিবিএস পাস করা চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিককে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় প্রেমিক মূলহোতা মো. রেজাউল করিম রেজার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

শনিবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম মামলার এজহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এদিকে আজ রেজাউল করিম রেজাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর হত্যাককাণ্ডের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন রেজা। এরপর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাতে চট্টগ্রাম থেকে রেজাকে গ্রেফতার করে র্যাব।

বুধবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পান্থপথের ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট নামের আবাসিক হোটেল থেকে সদ্য এমবিবিএস পাস করা চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জান্নাতুল এমবিবিএস পাস করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্ত্রী ও গাইনি বিষয়ে একটি কোর্সে অধ্যয়নরত ছিলেন।

ঘটনার পর পুলিশ জানায়, ওই আবাসিক হোটেলটিতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রেজাউল করিম রেজা নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে উঠেছিলেন জান্নাতুল। এরপর সুযোগ বুঝে স্বামী পরিচয়ধারী কথিত বয়ফ্রেন্ড রেজাউল তাকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান।

পুলিশ বলছে, জান্নাতুলের সঙ্গে রেজার প্রেমের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিন। বিষয়টি জানতো জান্নাতুলের পরিবার। এর আগেও তারা দুজন একাধিকবার দেখা করেছে এবং বাইরে ঘুরতেও গিয়েছিল। একসময় মেয়ের পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন রেজা। তবে তার চরিত্রগত সমস্যার কারণে বিয়েতে রাজি ছিল না নারী চিকিৎসকের পরিবার। তবুও তারা দুজনে মেলামেশা চালিয়ে যায়।

জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকের বাবা শফিকুল আলম বলেছিলেন, মগবাজার কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ থেকে সদ্য এমবিবিএস পাস করে জান্নাতুল। এরপর ঢামেক হাসপাতালে গাইনি বিষয়ে একটি কোর্সে অধ্যয়নরত ছিল। বুধবার সকাল ৮টার দিকে জান্নাতুল বাসা থেকে বের হয় ক্লাসের কথা বলে। রাত ১০টার দিকে বাসায় ফিরবে বলে জানায়। তবে বাসায় না ফেরায় ১১টার দিকে তার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই।

অভিযুক্ত রেজাউল করিম রেজার পরিচয় বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, একদিন তার সঙ্গে বন্ধু হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার। গাজীপুর জয়দেবপুর একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত ছিল। জেনেছি ব্যাংকে নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে চাকরি হারিয়েছে। এর বেশি কিছু জানি না। মামলার কপিতেও রেজার পরিচয় ও ঠিকানা অজ্ঞাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।এঘটনায় জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকের বাবা শফিকুল আলম বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় একটি মামলা করেন।

আরো পড়ুন