ঢাকা,  শুক্রবার  ০৩ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

চেয়ারম্যান ‘বকাঝকা’ করায় নারী মেম্বারের বিষপান

প্রকাশিত: ১৩:০৬, ৩১ জুলাই ২০২৩

চেয়ারম্যান ‘বকাঝকা’ করায় নারী মেম্বারের বিষপান

ফাইল ছবি

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে টিসিবির কার্ড না দিয়ে চেয়ারম্যান বকাঝকা করায় এক নারী ইউপি সদস্যের বিষপানের অভিযোগ উঠেছে। তিনি ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখন বাড়িতে আছেন।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই নারী দাদপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের ইউপি সদস্য শাহিনুর বেগম। তিনি হাসামদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, ২৯ জুলাই টিসিবির পণ্য বিতরণ উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে সদস্যদের নিয়ে সভা করেন দাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন। ওই সভায় চেয়ারম্যান অন্যান্য সদস্যদের ফোন করে পরিষদে আসতে বললেও শাহিনুরকে আসতে বলেননি চেয়ারম্যান। পরিষদে টিবিসির কার্ড বিতরণের খবর এক গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে পেয়ে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য শাহিনুর বেগম ইউনিয়ন পরিষদে যান। তিনি সভা শেষে চেয়ারম্যানের কাছে কার্ড দাবি করেন। এ সময় চেয়ারম্যান তাকে কার্ড না দিয়ে উল্টো কটু কথা বলে পরিষদ থেকে বের করে দেন। এ অপমান সহ্য করতে না পেরে বাড়িতে গিয়ে সন্ধ্যায় শাহিনুর বেগম ধানের কীটনাশক পান করেন। ওদিন রাতেই তাকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে এক রাত  চিকিৎসা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি এখন বাড়িতে আছেন।

বোয়ালমারী উপজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম এম নাহিদ আল রাকিব বলেন, শাহিনুর বেগম হাসপাতালে এলে তার পেট থেকে বিষ ওয়াস করে ফরিদপুরে রেফার করা হয়। তবে ওই রাতে তিনি এই হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়ে পরদিন ফরিদপুর মেডিকেলে গিয়েছিলেন।
 
শানিনূর বেগম বলেন, গত বছর স্থানীয় সংসদ সদস্যের বরাদ্দের টাকায় ২০০ ফুট একটি ইটের সলিং এর রাস্তার কাজ করায় চেয়ারম্যান আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। সর্বশেষ একই প্রকল্পের আরও দুটি কাজ পাওয়ায় তিনি আমাকে না জানিয়ে টিসিবির কার্ড বিতরণ করছিলেন। 

তখন পরিষদের গিয়ে জানতে চাইলে তিনি আমাকে বলেন, 'তুমি তো বড় চেয়ারম্যান হইছো, এমপির কাজ কর, তুমি টিসিবির কার্ড যেমনে পারো অমনে নেও আমি তোমারে কার্ড দেব না।এরপর তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমাকে সবার সামনে এমন গালিগালাজ ও অপমান করায় আমি মেনে নিতে না পেরে আত্মহত্যার জন্য গুল ও কীটনাশক পান করেছিলাম।

দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হাসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সেদিন পরিষদে এমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি যাতে বিষপান করতে হবে। যতদূর জেনেছি স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহে ওই ইউপি সদস্য বিষপান করেছেন।