ঢাকা,  শুক্রবার  ০৩ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

এই শোক সহ্য করা যায় না : আব্দুর রহমান

প্রকাশিত: ২২:৫৩, ২৬ জুন ২০২৩

এই শোক সহ্য করা যায় না : আব্দুর রহমান

ফাইল ছবি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় নিহত আটজনের মধ্যে সাতজনের বাড়িই বোয়ালমারীতে। তাদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান।

সোমবার (২৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমড়া গ্রামের আলমগীর খান এবং দুপুর ১২টার দিকে গুনবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর উত্তরপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. আজিজার শেখের বাড়িতে গিয়ে নিহত তাসলিমা বেগমের বেঁচে থাকা ছোট মেয়ে চায়না (২৫) ও ছেলে আনিস শেখকে (১৮) সান্ত্বনা দেন তিনি।

এ সময় আব্দুর রহমান বলেন, এই শোক সহ্য করা যায় না। এই শোক বর্ণনা দেওয়ার মতো নয়। কোনো মহাশত্রুকেও যেন আল্লাহ এই ধরনের পরীক্ষায় না ফেলেন। এটাই আমরা প্রার্থনা করি।

তিনি বলেন, আমাদের দলের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিজেই এ ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত। তিনি এই পরিবারের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ধরনের দুর্ঘটনা সত্যিই কষ্টকর। আল্লাহ নিহতদের পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দিন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বোয়ালমারী পৌরসভার মেয়র সেলিম রেজা লিপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি (সাবেক) আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মৃধা মিলন, সহ-প্রচার সম্পাদক এনামুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সিদ্দিক খান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফেলাননগর উত্তরপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. আজিজার শেখের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৫০) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়ে মেয়ের বাসায় অবস্থান করছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে সামনে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ফেলাননগরের উদ্দেশ্যে তার দুই মেয়ে, চার নাতি-নাতনিসহ সাতজন গত শনিবার (২৪ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা থেকে রওনা দেন।

পথিমধ্যে বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের মালিগ্রাম ফ্লাইওভারে ওঠার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় তাদের দেহ। অ্যাম্বুলেন্সে থাকা চালকসহ আটজন দগ্ধ হয়ে মারা যান।