ঢাকা,  শুক্রবার  ০৩ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

বরগুনায় প্রথমবার ব্ল্যাক রাইস চাষ

প্রকাশিত: ১২:২৬, ৩ মে ২০২৩

বরগুনায় প্রথমবার ব্ল্যাক রাইস চাষ

সংগৃহিত ছবি

বরগুনার আমতলীর কালি বাড়ি গ্রামে ঔষধি ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ব্ল্যাক রাইস চাষ করে সাড়া ফেলেছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা কাওসার হাওলাদার। তার সাফল্য দেখে অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এই ধান চাষে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে কালো ধানের চাষ হলেও এ জেলায় এটাই প্রথম।

ব্ল্যাক রাইস ধান গাছ প্রথমে সবুজ থাকলেও পাকার সঙ্গে সঙ্গে কালো হতে শুরু করে। এ চাল দামেও তেমন, পুষ্টিগুণে তেমন ভরপুর।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো ধানের চালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ফাইবার হার্টকে সুস্থ রাখে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধক এ ধানের চাল। 

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, আমতলীর চাওরা ইউনিয়নের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা কাওসার ব্ল্যাক রাইস এর পাশাপাশি বাসমতী, বঙ্গবন্ধু ১০০, জিয়া ৮৬, ভিয়েতনাম চায়না, ফাতেমা, পারপেল রাইসসহ মোট ৭ জাতের ১৭ বিঘা জমিতে ধানের চাষ করেছেন। এ সবের মধ্যে কোনো জাতের চাল অনেক বেশি কালো, কোনোটি লাল, আবার কোনটি লালচে লাল রঙের।

তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা কাওসার হোসেন বলেন, ইউটিউবে প্রথম এ ধানের চাষাবাদের বিষয়ে দেখেন ও বিস্তারিত জানেন। পরে অনলাইনে সিলেট থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে ৩ কেজি ব্ল্যাক রাইস বীজ সংগ্রহ করেন। ব্ল্যাক রাইস নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহলের কমতি নেই। অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন এই ধান আবাদে। অন্য কৃষকের কাছ থেকেও প্রচুর সাড়া পেয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে ধান বীজ হিসেবে নেওয়ার জন্য কয়েকজন অর্ডার করে রেখেছেন। এ ছাড়াও সারা দেশের কৃষকদের মাঝে স্বল্পমূল্যে এ বীজ ছড়িয়ে দিতে চান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘ব্ল্যাক রাইসকে স্বাভাবিক ধানের মতই পরিচর্যা করতে হয়। অতিরিক্ত পরিচর্যার প্রয়োজন না হলেও অন্য ধানের তুলনায় অধিক লাভবান হওয়া যাবে। এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেছি। আগামী বছর ব্যাপকভাবে চাষ করব।’ 

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, উপজেলায় এ ধানের চাষ প্রথম। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ব্ল্যাক রাইস ধানের দামও বেশি। কৃষি অফিস থেকে কাওসারকে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।