পটুয়াখালী সদরে মা-বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগে স্কুলশিক্ষক মাহাবুব আলম লিটনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পৌর শহরের কলেজ রোডের মৃধাবাড়ি সড়ক এলাকা থেকে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মাহবুবকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান। তিনি জানান, রাতেই আদালতের মাধ্যমে মাহাবুবকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাউরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
ওসি আরো জানান, মা-বাবাকে নির্যাতনের মামলায় মাহাবুবের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে তার স্ত্রী আকলিমা বেগমকেও। তিনি সদর উপজেলার আউলিয়াপুর বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আকলিমা বাড়িতে না থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।
এর আগে, ৭ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন শিক্ষক মাহাবুবের বাবা আবুল হাশেম। তিনি জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী প্রকৌশলী শাখায় চাকরি করতেন। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে অবসরে যান।
আবুল হাশেমের আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম রকি জানান, হাশেম পরিবার নিয়ে তিনি থাকতেন পটুয়াখালী পৌর শহরের মৃধাবাড়ি সড়কে। সেখানে প্রায় ১২ বছর ছিলেন হাশেমের মেজ ছেলে মাহাবুব ও তার স্ত্রী আকলিমা। নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময় বাবার কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নেন তারা। তা ফেরত চাইলে মা-বাবাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। নির্যাতনে অসুস্থ্ হয়ে কিছুদিন হাসপাতালেও ছিলেন হাশেমের স্ত্রী ফিরোজা বেগম।
তিনি আরো জানান, সবশেষ গত বছরের শুরুর দিকে ঐ বাড়ি থেকে মা-বাবাকে তাড়িয়ে দেন শিক্ষক মাহাবুব ও তার স্ত্রী। তারা গ্রামের বাড়ি গলাচিপায় চলে যান। কিছুদিন পর আবার শহরে ফিরে ভাড়া বাসায় ওঠেন।
মামলা সূত্র জানায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি বড় ছেলে ফারুক হোসেন মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে গেলে মাহাবুবও সেখানে যান। তাদের মধ্যে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে বাবা ও বড় ভাইকে বঁটি দিয়ে কোপাতে যান তিনি। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে মাহাবুব চলে যান। ঐ ঘটনায় ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলার আবেদন করেন হাশেম। সেটি আমলে নিয়ে মাহাবুবকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। আকলিমাকে তলব করা হয় আদালতে।
গাজীপুর কথা
