ঢাকা,  শনিবার  ২৭ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে নির্যাতিত প্রেমিক যুবক, লিখিত অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে নির্যাতিত প্রেমিক যুবক, লিখিত অভিযোগ

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন এক যুবক। ভুক্তভোগী ওই যুবক পুলিশের বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ করে সাময়িক নিস্তার পেলেও হয়রানি বন্ধ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মহিষখোঁচা দক্ষিণ বালাপাড়া কুটিরপাড় এলাকার জোবায়দুল ইসলামের ছেলে আব্দুল কুদ্দুসের (সম্রাট) সঙ্গে প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে আরফিনা বেগমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ২০১৭ সালে তারা বিয়ে করেন। আরফিনার পরিবার সেই সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় পরবর্তীতে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। 

এরই জের ধরে আরফিনার বড় ভাই মশিয়ার রহমান ও তার ভাই মিজানুর রহমান মিথ্যা মামলা, জীবন নাশের হুমকি ও নানানভাবে হয়রানি করে আব্দুল কুদ্দুসকে আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন। এরইমধ্যে তাকে একটি মিথ্যা মামলায় জড়িত করে ৮৫ দিন কারাভোগ করতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আব্দুল কুদ্দুস। 

এছাড়াও চলতি মাসের ১৮ তারিখে মিজানুর রহমানের বাসায় পলাশ নামের এক ছিঁচকে চোর ধরা পড়ে। মশিয়ার ও মিজানুর সেই ঘটনাতেও অন্যায়ভাবে আব্দুল কুদ্দুসকে জড়িত করার চেষ্টা করে। তবে গ্রাম্য বৈঠকে বিষয়টি প্রমাণিত না হওয়ায় মুক্তিপান তিনি।

ভূক্তভোগী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, প্রতিপক্ষ মশিয়ার রহমান পুলিশে চাকরি করেন। তাই কথায় কথায় আমাকে পুলিশি হয়রানি করছেন। কিছুদিন আগেও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়েছিল- আমি নাকি মাদকের সঙ্গে জড়িত। তার এমন তথ্যে আমি তিন দফায় হয়রানি হয়েছি। শুধু তাই নয়, ডিবি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাকে আটক করেছিল মশিয়ার। যদিও পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সুপারিশে ছাড়া পাই। 

পরে এসব বিষয়ে তৎকালীন লালমনিহাটের এসপি এস এম রশিদুল হকের শরণাপন্ন হলে মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তার হস্তক্ষেপে নিস্তার পেয়েছেন বলে জানান তিনি। তবে সম্প্রতি ওই এসপি বদলি হওয়ার পর আবারো নির্যাতন শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কুদ্দুস। 

এ অবস্থায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মশিউরের ভয়ে আতঙ্কে রয়েছে কুদ্দুস। পুনরায় মিথ্যা মামলা, হয়রানি, এমনকি জীবন নাশের আশঙ্কায় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশের বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী আব্দুল কুদ্দুস।

তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মশিয়ার রহমান ও তার ভাই মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

আদিতমারী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গাজীপুর কথা