ঢাকা,  শুক্রবার  ০৩ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

৯ মাসে ৪৩ হাজার টন শুকনা মরিচ আমদানি, তবুও কমছে না দাম

প্রকাশিত: ১৫:৪৩, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

৯ মাসে ৪৩ হাজার টন শুকনা মরিচ আমদানি, তবুও কমছে না দাম

সংগৃহীত ছবি

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে শুকনা মরিচের আমদানি বেড়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসের তুলনায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে এই মসলাজাত পণ্যটি প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টন আমদানি বেড়েছে। ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, দেশীয় বাজারে চাহিদা বাড়ার কারণে শুকনা মরিচ আমদানি বেড়েছে। অন্যদিকে, বন্দরে আমদানি বাড়লেও বাজারে তার প্রভাব পড়ছে না। গত এক থেকে দেড় মাস সাতক্ষীরার মসলা বাজারে স্থীতিশীল অবস্থায় রয়েছে শুকনা মরিচের দাম।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা জানায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছে ৪৩ হাজার ১৩২ টন। যার আমদানি মূল্য ১ হাজার ৮৬ কোটি ৮ লাখ টাকা।

অন্যদিকে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ পর্যন্ত ভোমরা বন্দরে শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছিল ৩৭ হাজার ৭৮৭ টন। যার আমদানি মূল্য ছিল ৯২৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সে অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের গেল ৯ মাসে এ বন্দরে শুকনা মরিচ আমদানি বেড়েছে ৫ হাজার ৩৪৫ টন।

ভোমরা বন্দরের অন্যতম মসলাজাত পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী আবু হাসান জানান, গেল অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর তার প্রতিষ্ঠানে শুকনা মরিচ আমদানি বেড়েছে। সপ্তাহে ১০ থেকে ১২ ট্রাক শুকনা মরিচ আমদানি হচ্ছে। যা গেল অর্থবছরের এই সময়ের তুলনায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি।

তিনি আরো জানান, গত অর্থবছরের এই সময় সপ্তাহে ৭ থেকে ৮ ট্রাক শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছে তার প্রতিষ্ঠানে। আমদানিকৃত এসব শুকনা মরিচ স্থানীয় জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

সাতক্ষীরা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের মসলা আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি শুকনা মরিচ ৪৫০ থেকে ৪৬০ দরে বিক্রি হয়েছে। যা আরো এক থেকে দেড় মাস আগেও এই দামই ছিলো। 

বন্দরে আমদানি বাড়লেও দাম কমছে না কেন? এমন প্রশ্ন করলে ব্যবসায়ীরা জানান, ভোমরা বন্দরে যে পরিমাণ শুকনা মরিচ আমদানি হয় তার অধিকাংশ চলে যায় জেলার বাইরে। ফলে পণ্যটি আমদানি বাড়লেও তার প্রভাব সাতক্ষীরার হাটবাজারগুলোতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা এমএম আব্দুল্লা জানান, জেলায় শুকনা মরিচের দাম স্থীতিশীল অবস্থায় রয়েছে। বিগত এক থেকে দেড় মাস ধরে প্রায় একই রয়েছে শুকনা মরিচের দাম। তবে ভোমরা বন্দরে যে পরিমাণ শুকনা মরিচ আমদানি হচ্ছে তাতে করে দাম কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু কেন কমছে না সেটি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানান তিনি।