ঢাকা,  মঙ্গলবার  ৩০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে যুবককে অপহরণ, গ্রেফতার ৩

প্রকাশিত: ২০:১০, ১২ অক্টোবর ২০২৩

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে যুবককে অপহরণ, গ্রেফতার ৩

ফাইল ছবি

নীলফামারীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সজল ইসলাম নামের এক যুবককে অপহরণ করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১২) বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এরআগে বুধবার (১১ অক্টোবর) দিনগত রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন পৌর শহরের সওদাগড়পাড়া এলাকার মৃত আলিমুজ্জামান মিলনের ছেলে নাদিফ জামান ঊষা (২৪), বাড়াইপাড়ার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে তানভীর আহম্মেদ প্রান্ত (২৩) ও ডালপট্টি এলাকার নেয়ামত আহমেদের ছেলে ফজলে রাব্বী (২৩)।

ভুক্তভোগী সজল ইসলাম সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানি যাদুরহাট এলাকার নুর ইসলামের ছেলে।

পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে সজল ইসলাম ইসলামী ব্যাংকের নীলফামারী শাখায় ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে ইজিবাইকযোগে শহরের চৌরঙ্গীর মোড়ে নামেন। এরপর ব্যাংকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে অপর ইজিবাইকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় সুইট মার্ট মিষ্টির দোকানের সামনে প্রথমে দুই ব্যক্তি এসে সজলের নাম ও ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন। পরে তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেন। তাকে সজল ইসলামকে ডিবি পুলিশের বড় কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।

তখন ভুক্তভোগী যুবক প্রতিবাদ করলে সেখানে থাকা রিকশাওয়ালা ও পথচারী লোকজন জড়ো হন। একপর্যায়ে ওই দুই ব্যক্তি যুবককে জোর করে একটি রিকশায় উঠিয়ে প্রথমে শহরের এবাদত প্লাজার সামনে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক সংলগ্ন গলি দিয়ে পূর্ব দিকের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে আরও দুজন মোটরসাইকেলে এসে যুবককে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে যান।

বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই চারজন প্রথমে ভুক্তভোগী যুবকের প্যান্টের পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা জোর করে বের করে নেন। পরে তার বিকাশে থাকা ৬৫০ টাকা ক্যাশ আউট করে নেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী যুবকের হাতে নেশাজাতীয় কিছু ধরিয়ে দিয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন তারা। এরপর তারা যুবকের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পান মর্মে তিনটি নন জুডিসিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্পে জোর করে সই নিয়ে তা ভিডিও ধারণ করেন।

পরে ভুক্তভোগী সুযোগ বুঝে সন্ধ্যার দিকে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান। তিনি টুপামারী শাপলাপাড়ার নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে প্রবেশ করে চিৎকার করলে এলাকার লোকজন জড়ো হন। এতে ওই চার যুবক পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন চিনে ফেলেন। এরপর রাতেই সজল বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নাদিফ জামান উষার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে জোর করে স্ট্যাম্পে সই নেওয়ার ১৯টিসহ অন্যান্য ভিডিও পাওয়া গেছে। এসময় একটি হাতকড়া ও অপহরণের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।