ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

৫ বছরের ব্যবধানে একই তারিখে মা-মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যু!

প্রকাশিত: ০৮:৩৮, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০

৫ বছরের ব্যবধানে একই তারিখে মা-মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যু!

পাঁচ বছর আগে রহস্যজনকভাবে মায়ের মৃত্যু হয়। পাঁচ বছর পর একই তারিখে এবং একইভাবে মেয়েরও মৃত্যু হয়। এরইমধ্যে ওই মেয়ের বাবা বেশ তড়িঘড়ি করে লাশ দাহ করেন। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
১৬ সেপ্টেম্বর রাতে রাঙামাটি থেকে মেয়েটির লাশ অটোরিকশায় করে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে নিয়ে আসেন শিশুটির বাবা। কাউকে কিছু না জানিয়ে রাতেই পারিবারিক শ্মশানে শিশুটির দাহ সম্পন্ন করা হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তবে মৃত্যুর কারণ কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। দাহ শেষ করার পরপরই শিশুটির বাবা পালিয়ে যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর কধুরখীলের দেওয়ানজীবাড়ির বাবলু দেওয়ানজী টাবলুর মেয়ে মনি দেওয়ানজী প্রিয়ন্তী বাবার সঙ্গে রাঙামাটির কাউখালী ঘাগড়া বাজার এলাকায় থাকত। সেখানেই প্রিয়ন্তী বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়েছে দাবি করেছেন নিহতের চাচা প্রিয়তোষ দেওয়ানজী ও টিটু দেওয়ানজী। এর আগে গত ২০১৫ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর প্রিয়ন্তীর মা টকি দে'র অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। 

এ ঘটনায় নিহত টকির মা লক্ষ্মী দে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগে রাউজান থানায় মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় স্বামী বাবলু দেওয়ানজী টাবলু গ্রেফতারও হয়েছিলেন। তাদের সংসারে প্রেমা দেওয়ানজী ও মনি দেওয়ানজী প্রিয়ন্তী নামের দুই মেয়ে রয়েছে। পরে বাবলু দেওয়ানজী আবার বিয়ে করেন। প্রিয়ন্তী বাবা ও সৎমায়ের সঙ্গে রাঙামাটির কাউখালীতে বসবাস করছিল। এর মধ্যে সৎমায়ের সংসারে আরো একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। এরপর নানা অশান্তির সৃষ্টি হলে প্রেমা বোয়ালখালীতে ঠাকুমায়ের কাছে চলে আসে ও স্থানীয় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে।

নিহতের নানি লক্ষ্মী দে জানান, তার মেয়েকে প্রায় সময় মারধরের পর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন বাবলু। অনেকবার চিকিৎসাও করিয়েছেন তিনি। একপর্যায়ে তিনি পরিকল্পিতভাবে মেয়েকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় মামলা বিচারাধীন। পাঁচ বছরের মাথায় গত শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে নাতনি প্রিয়ন্তীর মৃত্যুর খবর পান। তারা তাকেও হত্যা করেছে বলে ধারণা করছেন তিনি।

স্থানীয় কধুরখীল ইউপি সদস্য শংকর চন্দ বলেন, এটি মর্মান্তিক ঘটনা। শিশুটির মা পাঁচ বছর আগে একই তারিখে মারা গিয়েছিলেন। এর পাঁচ বছরের মাথায় শিশুটিও মারা গেল। স্থানীয়রা এই বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের দাবি জানিয়েছে। 

১৬ সেপ্টেম্বর রাতে শিশুটির নানিকে বিষয়টি জানালে তিনি এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছিলেন। এ ছাড়া ওই দিন বোয়ালখালী থানার ওসি ফোনে দাহকার্য সম্পন্ন করার জন্য বললে সে অনুযায়ী দাহ সম্পন্ন করা হয়। তবে এর পর থেকে শিশুটির বাবা পলাতক।

বোয়ালখালী থানার ওসি মো. আবদুল করিম বলেন, এই বিষয়ে কিছু জানি না। আমাকে কেউ জানায়নি।

গাজীপুর কথা