ঢাকা,  শনিবার  ২৭ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

যে ঝিনুকের বয়স ছিল ৫০৭ বছর!

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২২ মে ২০২০

যে ঝিনুকের বয়স ছিল ৫০৭ বছর!

যখন বিজ্ঞানীরা অসচেতনভাবে একটি প্রাণীকে মেরে ফেললেন আর দেখা গেল মারা যাওয়ার আগে সেটিই পৃথিবীর সবচাইতে বয়স্ক প্রাণীটি ছিল,এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা বিজ্ঞানীমহলের জন্য আর কিছুই হতে পারে না। শুধু তাই নয়, পরীক্ষা করে জানা গেল প্রাণীটির বয়স বিজ্ঞানীরা এর আগে যা ধারণা করেছিলেন, তার চেয়েও বেশি অনেকখানি বেশী! প্রায় ৫০৭ বছর!
 
The ocean quahog নামে এই সামুদ্রিক ঝিনুকটিকে আইসল্যান্ডের কাছে উত্তর আটলান্টিক সাগরের তলদেশ থেকে উদ্ধার করেন গবেষকরা। ঘটনাটি ২০০৬ সালের। এরপর সেটিকে একটি ফ্রিজারের ভেতরে রেখে দেন। গবেষকরা তখনো জানতেন না সেটির বয়স কত। এরপর Bangor Universityর গবেষকরা গবেষণাগারে নিয়ে এটিকে নিয়ে পরীক্ষা করেন ও জানান এর বয়স ৪০০ বছর। এর পর পরই শামুকটি গিনিজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নেয়।
 
ঝিনুকটির নাম দেয়া হয় “মিং”। 
মিং ছিল শামুকটির জন্মের সময়কার চীনের রাজবংশের নাম। এরপর আরো নিখুঁত পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেল বিজ্ঞানীরা এটির বয়স যা ভেবেছিলেন, এর প্রকৃত বয়স তার চেয়েও ১০০ বছর বেশি। University’s School of Ocean Sciences এর ডক্টর পল বাটলার বলেন, “খুব সম্ভবত প্রথমবার আমাদের প্রাপ্ত তথ্য ভুল ছিল ও আমরা আমাদের গবেষণা ফলাফল প্রকাশের ব্যপারে তাড়াহুড়ো করছিলাম। কিন্তু আমরা নিশ্চিত এবার আর আমরা সে ভুল করি নি।“
 
ঝিনুক জাতীয় প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য হছে, এদের বয়স যত বাড়তে থাকে এদের খোলস ততই স্তরে স্তরে সজ্জিত হতে থাকে। প্রতি গ্রীষ্মে এদের খোলস পরিবর্তিত হয়। আর এর ফলে এদের খোলসে বলয় বা রিং সৃষ্টি হয়। যাই হোক, মিং যেহেতু অনেক বেশি বয়স্ক একটি ঝিনুক ছিল, তাই এর খোলসে অনেকগুলো বলয় ছিল যেগুলো একটি আরেকটির সাথে পেঁচিয়ে গিয়েছিল। বলয়গুলো পরীক্ষা করে গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন যে, ঝিনুকটির জন্ম হয়েছিল ১৪৯৯ সালে, যখন কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন । আর মিং এর জন্মের পর পরই রাজা অষ্টম হেনরি ১৫০৯ সালে তাঁর প্রথম স্ত্রী ক্যাথেরিন অব আরাগণকে বিয়ে করেন।
 
ডেনমার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক জ্যান হেইনেমেয়ার এই ঝিনুকটির বয়স নির্ধারণে কাজ করেছিলেন।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন