ঢাকা,  শনিবার  ২৭ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ময়মনসিংহের ১০ পৌরসভায় আন্দোলনে কর্মীরা; দুর্ভোগ পৌরবাসীর

প্রকাশিত: ১১:১৪, ২৬ জুলাই ২০১৯

ময়মনসিংহের ১০ পৌরসভায় আন্দোলনে কর্মীরা; দুর্ভোগ পৌরবাসীর

সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা ও পেনশনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সারাদেশের পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এ কর্মসূচি পালনে ঢাকায় রয়েছেন ময়মনসিংহের ১০ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। টানা ১২ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে এসব পৌরসভার কার্যক্রম। এতে পৌরসভার সব ধরনের সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন কয়েক লাখ নাগরিক। পানি ও নাগরিকত্ব সনদ না পাওয়াসহ নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পৌরবাসী।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন বাদ দিয়ে মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া, ত্রিশাল, ভালুকা, ফুলপুর, গৌরীপুরসহ জেলায় ১০টি পৌরসভা রয়েছে। এক হাজার ৩০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন এসব পৌরসভায়। গত ১৪ জুলাই থেকে 

ঢাকায় অবস্থান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এ অবস্থায় প্রতিটি পৌর শহরের অলিগলিতে জমেছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। সরবরাহ বন্ধ থাকায় খাবার পানি ও গোসলের পানির তীব্র সংকটে পড়তে হচ্ছে তাদের। রাতে সড়কবাতি না থাকায় অন্ধকারে ছেয়ে গেছে প্রতিটি শহর। এতে রাতে পথচারীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে ভয় পাচ্ছেন। চোর-ডাকাতের ভয় তো আছেই। ড্রেনগুলো পরিস্কার না করায় বৃষ্টির পানিতে রাস্তাঘাট, বাসাবাড়িতে পানি জমে জলাবদ্ধতায় রূপ নিচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। পথচারীরা নাকেমুখে রুমাল চেপে ওইসব এলাকা পার হচ্ছেন। বন্ধ রয়েছে জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ, ইপিআই টিকা কর্মসূচি, ট্রেড লাইসেন্স কার্যক্রমসহ সব ধরনের সেবা।

মুক্তাগাছা পৌরসভার মহারাজ রোড এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন ফকির বলেন, পৌরবাসী নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করেও পৌরসভার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে- এটা হতে পারে না। কে কী আন্দোলন করল সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়, আমরা চাই নাগরিক সুবিধা। 

ফুলপুর পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড এলাকার মোখলেছুর রহমান বলেন, তিন দিন ধরে নাগরিকত্ব সনদের জন্য পৌরসভায় আসা-যাওয়া করছেন। পৌরসভার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বারবার ঘুরেও সনদ পাচ্ছেন না তিনি। অথচ নাগরিকত্ব সনদ ছাড়া তার বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। 

পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক আতাউর রহমান সমকালকে বলেন, আমাদের বেতনের নিশ্চয়তা নেই। কোনো কোনো পৌরসভায় ১১ মাসের বেতনও বকেয়া রয়েছে। বেতন না পেয়ে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। তাদের সন্তানদের পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

মুক্তাগাছা পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, তার পৌরসভায় এখনও সাত মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। নিয়মিত বেতন দিতে না পারায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে অনীহা দেখা দিয়েছে। এতে নাগরিক সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রেও বাধাগ্রস্ত হতে হচ্ছে। নিজেদের দাবিকে যৌক্তিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি কোষাগার থেকে বেতন দেওয়া হলে নাগরিক সুবিধা অনেকাংশে বাড়বে।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন