ঢাকা,  মঙ্গলবার  ৩০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

পাওয়া গেল ‘সামুদ্রিক ড্রাগন’-এর ফসিল

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১১ ডিসেম্বর ২০২০

পাওয়া গেল ‘সামুদ্রিক ড্রাগন’-এর ফসিল

আজ থেকে আরও কয়েক কোটি বছর আগে নীল তিমির থেকেও এক প্রজাতির বড় প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল। যারা সমুদ্রের একদম নিচে বিচরণ করত এবং এদের প্রধান খাবার ছিল মাছ। সম্প্রতি এমন একটি প্রাণীর ফসিল পাওয়া গেছে। যার অস্তিত্ব সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) ডেইলি মেইলের একটি প্রতিবেদনে এমনই চাঞ্চল্যকর সব তথ্য উঠে এসেছে। যা সম্পর্কে মানুষ আগে কখনো জানেনি।

সম্প্রতি ইংল্যান্ডের ডোরসেট উপকূলে ইংলিশ চ্যানেলের কাছে একটি প্রাণীর ফসিল পাওয়া গেছে, যার অস্তিত্ব সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। প্রগৈতিহাসিক যুগের এই প্রাণীটিকে 'সামুদ্রিক ড্রাগন' বলা হচ্ছে। 

বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রায় ১৫ কোটি বছর আগে সমুদ্রে আরও একটি বড় প্রজাতির প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল। এটি সমুদ্রের একদম নিচে বিচরণ করত এবং এদের প্রধান খাবার ছিল মাছ। এটি সামুদ্রিক সরীসৃপ ইসথিয়োসোরের একটি প্রজাতি হতে পারে। তবে নতুন আবিষ্কার হওয়া প্রাণীটির গঠন এবং তার বৈশিষ্ট্য ওই সরীসৃপটি থেকে বেশ আলাদা।

ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মেগান জ্যাকব বলেন, অত্যন্ত সুরক্ষিত এই ফসিলটির পেটে বেশ কিছু কালো অংশ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো এর পেটের অংশ এবং প্রাণীটির পেটের রং আসলেই কালো ছিল। নতুন এই প্রজাতির প্রাণীর মুখে শতাধিক দাঁত ছিল। দাঁতগুলো ছোট ও মসৃণ হওয়ায় যেকোনো ছোট মাছও এর জালে ধরা পড়ত। তবে ইসথিয়োসোরের অন্য প্রজাতিগুলোর দাঁত বেশ বড় বড় থাকত। তাই এই প্রজাতি অন্যগুলোর চেয়ে বেশ আলাদা।

জ্যাকব আরও বলেন, ড্রাগনটির চোখ দুটি ছিল অবিশ্বাস্য রকমের বড়, যা তাকে অল্প আলোতেও মাছ শিকারে সহায়তা করত। এর থেকে অনুমান করা যায়, এটি হয়তো নিশাচর প্রাণী এবং পানির অনেক গভীরে গিয়ে খাদ্য আহরণ করতে পারত, যেখানে আলো পৌঁছায় না।

ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের আরেকজন গবেষক ডেভিড মার্টিল জানিয়েছেন, সামুদ্রিক এই ড্রাগনের পেটের ভেতর শক্ত বা বড় কোনো হাড় পাওয়া যায়নি। এর কারণ হতে পারে, এরা এমন কোনো খাবার গ্রহণ করত না, যা চিবুতে কষ্ট হয় বা বড় ও শক্ত হাড় আছে।

গাজীপুর কথা