
ফাইল ফটো
- ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে গ্রামীণ টেলিকমের ১৮ জন কর্মচারী তার বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা দায়ের করেন । মামলায় উল্লেখ করা হয়, ড. ইউনূস শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করেননি।
- কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ হিসাবে গ্রামীণ টেলিকমের কাছে ২২ কোটি টাকা পান বলে দাবি করেন ওই শ্রমিকরা।
- মামলার বাদী ১৭ জন অবসরে এবং একজন এখনো গ্রামীণ ফোনে কর্মরত আছেন।
নোবেল বিজয়ী ড.মুহাম্মদ ইউনূসের নামে একাধিক মামলা নিয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলে চলছে তর্ক-বিতর্ক। ড. ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট নামে দুই প্রতিষ্ঠানের নিকট ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১১শ' কোটি টাকা কর বকেয়া পড়ে রাজস্ব বিভাগে। বকেয়া কর পরিশোধের জন্য প্রতিষ্ঠান দুটিকে নোটিশ দেয় কর বিভাগ। কিন্তু কর পরিশোধ না করে নোটিশ স্থগিত চেয়ে কর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন এই নোবেলজয়ী। মূলত তার বিরুদ্ধে কেউ মামলা করেনি, প্রথমত তিনি নিজে মামলা করার নিজের ফাঁদে আটকা পড়েছেন।
জানা যায়, কর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে করা মামলায় হেরে যান ড. ইউনূস। পরবর্তিতে ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে গ্রামীণ টেলিকমের ১৮ জন কর্মচারী তার বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা দায়ের করেন । মামলায় উল্লেখ করা হয়, ড. ইউনূস শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করেননি। কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ হিসাবে গ্রামীণ টেলিকমের কাছে ২২ কোটি টাকা পান বলে দাবি করেন ওই শ্রমিকরা। মামলার বাদী ১৭ জন অবসরে এবং একজন এখনো গ্রামীণ ফোনে কর্মরত আছেন। তাই নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের করা মামলা থেকে বাচঁতে ও চলমান বিচারকে প্রভাবিত করতে প্রভাব খাটিয়ে বিশ্বনেতাদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন ড.ইউনূস । এমনকি সরকারকে টার্গেট করে কথিত বিশ্বমোড়লদের বিবৃতিতে নির্বাচন প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন যা উদ্যেশ্য প্রণোদিত।
সমালোচকরা বলছেন,ড.ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি।কিন্তু তিনি নিজেই সামান্য কর ফাঁকি দিতে গিয়ে নিজেকে ছোট করেছেন যা তার জন্য অত্যন্ত বেমানান। নিজের করা মামলায় যেমন তিনি হেরেছেন তেমনি নিজ প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরাই তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আবার তিনি আদালতকে প্রভাবিত করতে বিশ্বনেতাদের দিয়ে বিবৃতি দেওয়াচ্ছেন। এটি তার চতুরতা নাকি অসততা সেটা ধীরে ধীরে জনসমক্ষে প্রকাশ হয়ে পড়ছে।