ঢাকা,  মঙ্গলবার  ৩০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ভূমিসেবায় সুশাসন নিশ্চিতে এপিএ’র ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: ভূমিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ২২ এপ্রিল ২০২৪

ভূমিসেবায় সুশাসন নিশ্চিতে এপিএ’র ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: ভূমিমন্ত্রী

সংগৃহিত ছবি

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং ভূমিসংক্রান্ত জনবান্ধব সেবা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সচিবালয়ের ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের খসড়া এপিএ প্রণয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত এক কর্মশালা উদ্বোধনী অনুষ্ঠা‌নে তি‌নি এ কথা বলেন। 

এ সময় ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিব দায়িত্বে) মো. আব্বাছ উদ্দিন এবং অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জিয়াউদ্দীন আহমেদ এনডিসিসহ ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

ভূমিমন্ত্রী বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় জনগণের সম্পৃক্ততা অনেক বেশি ও প্রত্যক্ষ। বেশিরভাগ গ্রামীণ বিরোধ এবং মামলা মোকদ্দমা জমির মালিকানা সম্পর্কিত। তাই সরকার দক্ষ, আধুনিক, জনকল্যাণমুখী ও টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনগণকে আরও দক্ষ ভূমি সংক্রান্ত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় সুশাসন আনতে এপিএ’র ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

কর্মশালায় ভূমিমন্ত্রী সরকারি দপ্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধিতে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ভূমিমন্ত্রী তার বক্তব্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ফলপ্রসূ মানসিকতা, প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে এপিএ’র গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তিনি মন্ত্রণালয় ও মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোর মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সমন্বয় সৃষ্টির লক্ষ্যে নাগরিক সেবায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যসমূহের কার্যকর বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

নারায়ন চন্দ্র চন্দ জোর দিয়ে বলেন, ২০১৪-১৫ সালে সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত এপিএ মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর কর্মকাণ্ড প্রক্রিয়ামুখী থেকে ফলাফল-ভিত্তিক কার্যক্রমে আনায় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এ সময় মন্ত্রী ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থাসমূহকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ভিশন ও মিশনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আগামী অর্থবছরের জন্য নিজ নিজ কৌশলগত উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম নিখুঁতভাবে প্রণয়নের জন্য নির্দেশ দেন।