ঢাকা,  শনিবার  ২৭ জুলাই ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

শ্রীলঙ্কার স্পিকারের সাথে শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাক্ষাৎ

প্রকাশিত: ০১:০৯, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শ্রীলঙ্কার স্পিকারের সাথে শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাক্ষাৎ

ইমেজ: সংসদ সচিবালয়

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সোমবার শ্রীলঙ্কার সংসদ ভবনে এই সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সাক্ষাৎকালে দুই স্পিকার বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, নারীর ক্ষমতায়ন, দুই দেশের সংসদের পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।

এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশের অর্থনীতি হিমশিম খেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার পাশাপাশি শতভাগ বিদ্যুতায়ন, মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা, মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, নারীদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, শিক্ষাক্ষেত্রে নারীদের অভূতপূর্ব অগ্রগতি, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ডেল্টাপ্লান ২১০০ প্রণয়ন ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার।

তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের পাশাপাশি দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে সরকার, যা চলমান উন্নয়নে সহায়ক। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও জনগণের জীবনমান সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে বর্তমান সরকার। গণতন্ত্রের চর্চায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

বাংলাদেশের ‘অভূতপূর্ব’ উন্নয়নের প্রশংসা করে স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি আজ বিশ্বজুড়ে প্রশংসনীয়। দুদেশের সংসদের পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয় দেশ উপকৃত হতে পারে।

তিনি দুই দেশের সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে 'ফ্রেন্ডসিপ গ্রুপ' পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। শিরীন শারমিন চৌধুরী এসময় বাংলাদেশ সফরের জন্য শ্রীলঙ্কার স্পিকারকে আমন্ত্রণ জানান।

এসময়, শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার তারেক মো. আরিফুল ইসলাম, সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী ও অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।