ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি, নাসির আহমেদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ২৫ জুন ২০২১

ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি, নাসির আহমেদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা

মামলা করার এক সপ্তাহের মধ্যেই পিছু হটেছেন চিত্র নায়িকা পরীমনি। তিনি এখন মামলার মূল আসামি নাসির ইউ. আহমেদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে পরীমনির পক্ষ থেকে কয়েকজন নাসির ইউ. আহমেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলেও দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

তবে নাসির ইউ. আহমেদের পারিবারিক সূত্র বলছে যে, তারা এই বিষয়টিকে সিরিয়াসলি নিয়েছেন এবং তারা প্রকৃত তথ্য প্রমাণের জন্য এ মামলা লড়ে যেতে চান। কারণ তাদের বিশ্বাস যে শেষ পর্যন্ত এই মামলায় পরীমনি ফেঁসে যাবেন। উল্লেখ্য যে, ৮ জুন ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমনি এবং তার কয়েকজন সঙ্গে সেখানে গিয়েছিল। সেখানে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এই অপ্রীতিকর ঘটনার তিন দিন পর পরীমনি ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চান। এরপর তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।

এর পরদিনই পুলিশের অনুরোধে তিনি সাভার থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলা দায়েরের চার ঘণ্টার মধ্যে মামলার প্রধান আসামীসহ পাঁচজনকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা গ্রেফতার করেন। এখন নাসির ইউ. আহমেদসহ আসামিরা পুলিশ রিমান্ডে আছেন।

পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। কিন্তু এই জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যেই পরীমনির সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বেরিয়ে আসছে। বিশেষ করে পরীমনি মামলার এজাহারে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সঙ্গে বাস্তব ঘটনার মিল নেই বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছেন। যেমন পরীমনি বলেছিলেন যে, তিনি অনিচ্ছায় বোট ক্লাবে গিয়েছিলেন।

কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে পরীমনি সেখানে সেচ্ছায় গিয়েছিলেন। পরীমনি অভিযোগ করেছেন যে, বোট ক্লাবে তাকে জোর করে মদ খাওয়ানো হয়েছে। কিন্তু এখন প্রকাশিত ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে তাকে জোর করে নয় বরং স্বেচ্ছায় পরীমনি সেখানে মদ্যপান করেছিলেন।

পরীমনি বলেছেন যে, তিনি কোনো দিন মদ খাননি। খাওয়ার পরে তার গলা ছিরে যাচ্ছিল। কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় পরীমনির বাসাতেই দামি দামি মদের সমারোহ। তাছাড়া এই ঘটনার পর অল কমিউনিটি ক্লাবের ভিডিও ফুটেজ এবং বানানি ক্লাবে ভাংচুরের ঘটনা প্রকাশিত হলে পরীমনি মোটামুটি ফেঁসে যান।
প্রথম দিকে তার পক্ষে যেরকম একটি জনমত ছিল, শিল্পীসমাজ যেমন তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, এই সমস্ত তথ্য এবং ছবি প্রকাশের পর তারাও গুটিয়ে গেছেন। ফলে শুরুতে পরীমনির পক্ষে সবাই ছিলেন, এখন অবস্থা হয়েছে তার বিপরীত। আর এ কারণেই এখন পরীমনি বুঝতে পারছেন এই ঘটনাকে যদি বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তাহলে তার ক্যারিয়ারের ক্ষতি হবে এবং তিনিও আইনি জটিলতায় পড়বেন।

তাছাড়া বোট ক্লাবের সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য যে তথ্য উপাত্ত সেগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, পরীমনি কখনোই এই মামলা প্রমাণ করতে পারবেন না। আর এ কারণেই পরীমনি এখন দুত লাগিয়েছেন যে যাতে করে এই মামলাটি ধামাচাপা দেওয়া যায় বা প্রত্যাহার করা যায়। কিন্তু আইন বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, বোট ক্লাবের ঘটনার পর পরীমনির যে অবস্থা, যে অবস্থাটা তিনি অর্জন করেছিলেন সেটি আস্তে আস্তে খারাপের দিকে চলে গেছে। এর ফলে মনে করা হচ্ছে যে পরীমনি এখন বাঁচার জন্যই সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছেন।

গাজীপুর কথা