ঢাকা,  সোমবার  ০৬ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

বন্ধু হয়েই আপনাদের সেবা দিতে চাই: কেএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ২৩:১৯, ৬ আগস্ট ২০২৩

বন্ধু হয়েই আপনাদের সেবা দিতে চাই: কেএমপি কমিশনার

সংগৃহিত ছবি

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে (কেএমপি) সদ্য যোগদানকৃত পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেছেন, সেবক হতে হলে বন্ধু হতে হয়। বন্ধু হয়েই আপনাদের সেবা দিতে চাই। তবে আমরা মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসীদের বন্ধু নয়।

রোববার (৬ আগস্ট) দুপুরে কেএমপির সদর দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, নগরবাসীর সেবা নিশ্চিত করতে ‘হ্যালো কেএমপি’ অ্যাপস তৈরি করা হবে। এই অ্যাপসের মাধ্যমে সহজেই নগরবাসী সেবা নিতে পারবে।

মাদক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাদক বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা। আমাদের দেশেও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। শুধু আমাদের দেশেই নয়, অন্যান্য দেশেও একই অবস্থা। শুধু নিম্নবিত্ত নয়, উচ্চবিত্তসহ সব সেক্টরে মাদকের করাল গ্রাস রয়েছে। মাদক ব্যবসা করে অনেকে ফুলে ফেঁপে যাচ্ছে। এমন রাঘব-বোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই কোনো পুলিশ সদস্য যদি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও একই আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে চলবে না। মাদক ব্যবসায়ীর চেয়ে সাধারণ মানুষের সংখ্যা বেশি। সবাই মিলে মাদকের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবো।

কেএমপি কমিশনার বলেন, ট্রাফিক শৃঙ্খলা কেউ মানতে চায় না। সবাই ট্রাফিক শৃঙ্খলা নষ্ট করে। মূল সড়কে গাড়ি পার্কিংয়ের কোনো সুযোগ নেই। সরকারি কর্মকর্তা হলেও সুযোগ নেই। মামলা দেওয়া হবে।

নগরবাসীকে ট্রাফিক আর শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে সব করা হবে। হাইড্রোলিক হর্ন, ঝিকঝাক বাতির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে নিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করার চেষ্টা করব।

কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, সন্তানদের খোঁজখবর নিতে হবে। কোথায় যাচ্ছে? কি করছে? কখন ফিরছে? সবই খোঁজ রাখতে হবে। সন্তানদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এসব না করার কারণে কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে। কিশোর গ্যাং তৈরিতে সহযোগিতা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংদের সমাজের মূল স্রোতে আনা হবে। আর যদি কেউ না আসে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সবশেষে পুলিশ কমিশনার বিশেষ কল্যাণ সভায় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত, ইভটিজিং মুক্ত, মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত এবং ফৌজদারি অপরাধ মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যাশা জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।

বিশেষ কল্যাণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, মো. সাজিদ হোসেন, মোছা. তাসলিমা খাতুন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বিশেষ পুলিশ সুপার সিটিএসবি রাশিদা বেগম, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ডিবি বি.এম নুরুজ্জামান, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, মো. কামরুল ইসলাম, শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু, মনিরা সুলতানা, শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজী এবং বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল, খুলনার ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ একেএমএন করিমসহ অতি. ডেপুটি পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, সহকারী পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, অফিসার ইনচার্জবৃন্দ, সাব-ইন্সপেক্টরবৃন্দ, এএসআইবৃন্দ, কনস্টেবলবৃন্দ এবং কেএমপিতে কর্মরত সিভিল স্টাফবৃন্দ।