ঢাকা,  মঙ্গলবার  ৩০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

মুন্সিগঞ্জে ট্রলারডুবির ঘটনায় মামলা, নিখোঁজ ৩ শিশু

প্রকাশিত: ২২:৫০, ৬ আগস্ট ২০২৩

মুন্সিগঞ্জে ট্রলারডুবির ঘটনায় মামলা, নিখোঁজ ৩ শিশু

সংগৃহিত ছবি

মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে ট্রলার ডুবে ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার ও ৩ জন নিখোঁজ থাকার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত হ্যাপি ও পপির বড় ভাই রুবেল মিয়া বাদী হয়ে লৌহজং থানায় এ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত বাল্কহেডের মালিক, চালক ও চালকের সহকারীকে আসামি করা হয়েছে। রোববার (৬ আগস্ট) বিকেলে লৌহজং থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। 

এ ঘটনায় সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন, মোকছেদা বেগম (৪০), হ্যাপি আক্তার (২৮), পপি আক্তার (৩০), পপির দুই ছেলে সাকিবুল (১০), সজিবুল (৪)। হুমায়রা (৫ মাস) ও ফারিয়ান (৮) । তাদের সবার বাড়ি সিরাজদিখান উপজেলার লতাব্দি ইউনিয়নে। এখনো তিন শিশু নিখোঁজ রয়েছে। 

গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে ৪৬ জন যাত্রী নিয়ে লৌহজং উপজেলার রসকাটি এলাকায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবি ঘটলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটি এর সদস্যরা ট্রলারটির উদ্ধার কাজ শুরু করে। 

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডুবে যাওয়া স্থান থেকে এয়ার লিফন্টিং ব্যাগ, ক্রেন বোটের সাহায্যে ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। 

সরেজমিনে সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দি ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। পুরো গ্রাম স্তব্ধ অবস্থা বিরাজ করছে। নিহতের স্বজনদের দাবি নিষিদ্ধ বাল্কহেড চলাচলের কারণেই আমরা স্বজনদের হারিয়েছি। এ সমস্ত বাল্কহেড রাতের আঁধারে যদি না চলতো তাহলে হয়তো আমাদের স্বজনদের এভাবে হারাতে হতো না।

এ ব্যাপারে লৌহজং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহত পপি ও এপির বড় ভাই রুবেল মিয়া বাদী হয়ে লৌহজং থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত বাল্কহেডের মালিক, চালক ও চালকের সহকারীকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ আটক নেই।

প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার সকালে সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দি ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামের নারী-শিশুসহ ৪৬ জন ট্রলার নিয়ে  পদ্মা নদীতে পিকনিকে যান। পিকনিক শেষে ট্রলারটি তালতলা-গৌরগঞ্জ খাল দিয়ে লতাব্দির দিকে যাচ্ছিল। রাত আটটার দিকে ট্রলারটি লৌহজংয়ের রসকাঠি এলাকায় পৌঁছালে একটি বাল্কহেড ধাক্কা দিলে ট্রলারটি পানিতে তলিয়ে যায়। রাত থেকেই উদ্ধার অভিযান শুরু করে ডুবুরিরা। 

এদিকে, ট্রলারডুবির ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আরাকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।