ঢাকা,  শনিবার  ০৪ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

৭১ সালের পরাজিত শক্তিরাই চার পুলিশকে হত্যা করেছে

প্রকাশিত: ১৬:০০, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

৭১ সালের পরাজিত শক্তিরাই চার পুলিশকে হত্যা করেছে

পুষ্পস্তবক অর্পণ

রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ বলেছেন, ‘১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তিরাই ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বামনডাঙ্গায় চার পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছিল। সেই অপশক্তি দেশটাকে পাকিস্তান বানাতে না পেরে বারবার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। 

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুন্দরগঞ্জ থানার বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। শহিদ চার পুলিশ সদস্যের স্মরণে এই সভার আয়োজন করা হয়।

ডিআইজি আবদুল আলীম মাহমুদ বলেন, 'দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তাদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন আদালত। যারা এই রায়কে কেন্দ্র করে চার বীর পুলিশকে হত্যা করেছেন তারা নরপিশাচ। দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমেই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির প্রত্যাশা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করতে বাংলাদেশ পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সব অগণতান্ত্রিক অপশক্তিকে রুখে দিতে পুলিশই যথেষ্ট। আমাদের জীবন দিয়ে হলেও অতন্দ্র প্রহরীর মতো রাষ্ট্রের সব মানুষের নিরাপত্তা প্রদান করবো।’

গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুশান্ত কুমার মাহাতো, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফরুজা বারী,  সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম, বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শফিকুজ্জামান সরকার, বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা খুরশীদ জাহান স্মৃতি ও নিহত পুলিশ সদস্য হযরত আলীর স্ত্রী লায়লা বেগম প্রমুখ।

এর আগে, বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে নিরবতা পালন করা হয়। এসময় নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়। পরে নিহত চার পুলিশ সদস্যের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায়কে কেন্দ্র করে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। সেসময় উপজেলার বামনডাঙ্গায় ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বন্দরে দোকানপাট, বাড়ি-ঘর, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও রেলস্টেশন জ্বালিয়ে দেয়। রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়। এমনকি সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের কয়েক হাজার গাছ কেটে রাস্তা অবরোধ করে দুর্বৃত্তরা। তাদের নারকীয় তাণ্ডবে বাদ যায়নি দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। তাদের নির্মম পিটুনিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের চার পুলিশ সদস্য।