ঢাকা,  শনিবার  ০৪ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

পিরোজপুরে চালু হচ্ছে ২৫০ শয্যার নতুন ভবন

প্রকাশিত: ১১:১৭, ১২ জানুয়ারি ২০২৩

পিরোজপুরে চালু হচ্ছে ২৫০ শয্যার নতুন ভবন

পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের ২৫০ শয্যার নবনির্মিত ভবন

দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু হতে যাচ্ছে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের ২৫০ শয্যার নবনির্মিত ভবন। এরইমধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ৯৫ শতাংশ। এটি চালু হলে জনসাধারণের দীর্ঘ দিনের ভোগান্তির অবসান হবে এবং পাশের জেলাগুলোর ওপর চিকিৎসা নির্ভরতাও কমবে। সেই সঙ্গে জনগণ পাবে বিভাগ অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সুবিধা।

পিরোজপুর মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হয় ১৯৮৬ সালে। তখন ৩১ শয্যা থেকে জেলার হাসপাতালের যাত্রা শুরু হলেও ১৯৯৭ সালে জেলায় হাসপাতালের ৫০ শয্যার নতুন ভবন নির্মিত হয়। ২০০৫ সালে এসে সেটি ১০০ শয্যার হাসপাতালের ঘোষণা দেয়া হয়। পিরোজপুরের চারিপাশে নদী থাকায় এবং এতদিন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এসে থাকতো না। ফলে স্বাভাবিক চিকিৎসা পেতেও জেলার মানুষদের খুলনা কিংবা বরিশাল যেতে হত। এছাড়া প্রতিদিন এত পরিমাণ রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে, যার ফলে ২০১৭ সালে হাসপাতালটির ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ঘোষণা দেয়া হয়। ২০২০ সালে শেষ হবার কথা থাকলেও করোনার কারণে দু’দফা সময় বাড়ানো হয়। তবে এরইমধ্যে মূল ভবনের প্রায় ৯৫ ভাগ কাজ শেষ। তাই সবার মনে বইছে আনন্দের বন্যা।

রোগী ও স্বজনরা বলছে, আগে যেকোনো সমস্যার জন্য আমাদেরকে বরিশাল বা খুলনায় যেতে হতো। জরুরি সময়ে রোগী নিয়ে বিপাকে পড়তে হতো। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ পাওয়া এবং আধুনিক পরীক্ষা নিরীক্ষা আমাদের নাগালের বাইরে ছিল। এ ভবন চালু হলে আশাকরি আমাদের সে সমস্যা কেটে যাবে। আমরা চাই দ্রুত এটি চালু করা হোক।

সিভিল সার্জন ডা. হাসনাত ইউসুফ জাকী বলেন, ‘চিকিৎসার প্রয়োজনে খুলনা কিংবা বরিশাল নয়, বরং ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালে সব সময়ই পাওয়া যাবে আধুনিক চিকিৎসা সেবা।’

স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম বলেন, ‘পিরোজপুর ও আশপাশের এলাকায় আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা দিতে সরকারের এ উদ্যোগ। এখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামও থাকবে। দ্রুতই এটি চালু হবে।’

প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাসপাতালটি চালু হলে আশপাশের জেলাগুলোর কয়েক লাখ মানুষ আধুনিক চিকিৎসা সেবার আওতায় আসবে।