ঢাকা,  শনিবার  ০৪ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

৮ ডিসেম্বর: হানাদার মুক্ত পিরোজপুর

প্রকাশিত: ০৯:৫৯, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

৮ ডিসেম্বর: হানাদার মুক্ত পিরোজপুর

হানাদার মুক্ত পিরোজপুর

স্বাধীনতা যুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা পিরোজপুর। মহান এ যুদ্ধে জেলায় নিহত হয় ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ। সম্ভ্রম হারান অনেক মা-বোন। দীর্ঘ নয় মাসের এ যুদ্ধ শেষে ডিসেম্বরের ৮ তারিখ পিরোজপুর হয় হানাদার মুক্ত।

মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে নির্মম হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী হয় পিরোজপুর। পাক হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসররা নিরীহ মানুষকে ধরে পিরোজপুরের শহরের পার্শ্ববর্তী বলেশ্বর নদীর খেয়াঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে হত্যা করে। পিরোজপুরকে হানাদার মুক্ত করতে ৬ ডিসেম্বর সুন্দর বনের শরণখোলা রেঞ্জ হেড কোয়ার্টার সাব সেক্টর কমান্ডার পরিকল্পনা বৈঠক করেন ইয়ং অফিসার হারুন-অর-রশিদ, অ্যাড. সামসুল হক খান, কামাল উদ্দিন, লিয়কত আলী সেখ বাদশাসহ অন্যান্য তরুণ অফিসারদের নিয়ে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী শহরের ৩ দিক থেকে ৩টি দল শহরে প্রবেশ করে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন অঞ্চল মুক্ত হওয়ার খবরে ততক্ষণে পাক হায়েনারা বরিশালের উদ্দেশে নদী পাড় হয়ে শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা বিনা বাধায় শহরে ঢুকে থানায় অবস্থানরত পুলিশ ও সরকারি বিদ্যালয়ের পাক ক্যাম্পে রাজাকারদের আত্মসমর্পণ করিয়ে অস্ত্রগুলো মুক্তিযোদ্ধারা দখলে নেয়।

৮ ডিসেম্বর থেকে পাক বাহিনীর নির্মম নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয় এ জেলা শহরটি। দেশের বিভিন্ন স্থান স্বাধীন হওয়ার খবরে পিরোজপুর থেকে পালিয়ে যায় পাক সেনারা। এরপর ৮ ডিসেম্বর ৯নং সেক্টরের অধীন সুন্দরবন এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধারা বিনা বাধায় পিরোজপুর শহরের দখল নেয়। এরপরই পুরোপুরি মুক্তির স্বাদ পায় পিরোজপুর।

মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি স্বাধীনতার চেতনাকে বাস্তবায়িত করার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে তাদের জানানোর জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসহ সব প্রকার বদ্ধ ভূমি সংরক্ষণ করা হোক।