ঢাকা,  শনিবার  ২৭ জুলাই ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

সামিয়া-রাজমিস্ত্রি আহাদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন চিফ হুইপ

প্রকাশিত: ২০:১২, ১৫ মে ২০২৪

সামিয়া-রাজমিস্ত্রি আহাদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন চিফ হুইপ

ফাইল ছবি

মাদারীপুরের শিবচরে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া অদম্য মেধাবী সামিয়া ও রাজমিস্ত্রি আহাদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী। সংবাদ প্রচারের পর তাদের বাড়িতে মিষ্টি পাঠান চিফ হুইপ।

সামিয়ার লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেন নুর-ই-আলম চৌধুরী। এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তির পর তার লেখাপড়ার দিকনির্দেশনাও দেন তিনি। এতে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে সামিয়া ও হতদরিদ্র পরিবার। কলেজে ভর্তি ও উচ্চশিক্ষার নিশ্চয়তা পেয়ে খুশি তার পরিবার।

উল্লেখ্য, অদম্য শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তার ২০২৪ সালের এসএসসিতে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। সামিয়া জিপিএ-৫ পেয়ে সবাইকে চমক লাগিয়ে দিয়েছে। সে মাদারীপুর জেলার শিবচরের পাঁচ্চর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বুধবার সকালে সামিয়ার পরিবারকে ডেকে আনেন শিবচর উপজেলা পরিষদে। সামিয়া আক্তারের কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য ব্যক্তিগতভাবে তিনি ৫ হাজার টাকা সামিয়ার পরিবারকে দেন। আগামীতে লেখাপড়ার খরচ বহন করবেন বলে তিনি সামিয়ার পরিবারকে আশ্বস্ত করেন।

এদিকে শিবচর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়শা সিদ্দিকাকে দিয়ে আহাদের বাড়িতে মিষ্টি পাঠান চিফ হুইপ। তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ও কলেজে ভর্তির বিষয়ে খোঁজখবর নেন। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি আহাদের আগামী দিনের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেওয়াতে খুশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, শিবচর উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ও রাবেতা বেগম দম্পতির দুই ছেলের মধ্যে বড় আহাদ। বাবা দেলোয়ার হোসেন আগে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বেডসিট বিক্রি করতেন। প্রায় দুই বছর আগে হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোক করে এখন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হাঁটাচলা করতেই অনেক কষ্ট হয়। বাবা যখন ব্রেইন স্ট্রোক করে তখন আহাদ ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ বয়সেই সংসারের ভার পড়ে আহাদের ঘাড়ে। সঙ্গে চাচা ও মামার আর্থিক সহযোগিতায় কোনোমতে চলে তাদের সংসার।

পরিবারের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি দৈনিক ৪৫০ টাকা হাজিরায় রাজমিস্ত্রির জোগালি হিসেবে কাজ শুরু করে সে। যার ফলে প্রতিদিন স্কুলেও যেতে পারেনি আহাদ। বই না থাকায় বন্ধুদের কাছ থেকে বই চেয়ে নিয়ে পড়ত।

শিরুয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজী মহিদুল ইসলাম মহিম বলেন, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর কঠোর নির্দেশনা অনুসারে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আমরা সহযোগিতা করি। এই মেধাবী শিক্ষার্থীর ফরম পূরণে আমরা সহযোগিতা করেছি।

শিবচর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়শা সিদ্দিকা জানান, সামিয়া আক্তার ও শিরুয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া রাজমিস্ত্রি আহাদের বড়িতে মিষ্টি পাঠান জাতীয় সংসদের চিপ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। তিনি এই দুই অদম্য মেধাবীর আগামী দিনের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন।