.
রংপুরে আলুর বাজারে স্বস্তি ফেরাতে সরকার নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে এক টাকা কমে ৩৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে রংপুর জেলা আলুচাষি ও আলু ব্যবসায়ী সমিতি।
রোববার (১ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় রংপুর নগরীর কাঁচারী বাজারে ৩৫ টাকা কেজি আলু বিক্রির উদ্বোধন করেন রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান।
ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফেরাতে খোলাবাজারে আলু বিক্রির এ কার্যক্রম প্রভাব ফেলবে বলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান। তিনি বলেন, কয়েক দিন খোলাবাজারে আলু বিক্রি হলে বাজারে আলুর চাহিদা কমবে, তখন দামও কমে আসবে।
ডিসি আরও বলেন, বাজারে আলুর অস্থিরতা রোধে ইতোমধ্যে কোল্ড স্টোরেজ মালিক ও ব্যবসায়ী এবং চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। বাজারে আলুর নিয়ন্ত্রণে সরকার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ জেলা প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এরই মধ্যে রংপুর জেলার আলু চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে আজ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে খোলাবাজারে আলু বিক্রি শুরু হলো।
উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু, রংপুর জেলা আলু চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তৈয়বুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ বনিক প্রমুখ।
সমিতির নেতারা বলেন, রংপুর মহানগরীতে চারটি ট্রাকে করে তিন টন করে মোট ১২ টন আলু প্রতিদিন খোলাবাজারে বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে নগরীর কাচারীবাজার ডাকঘর সংলগ্ন পয়েন্ট, জাহাজ কোম্পানি মোড়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবন ও শাপলা চত্বরে স্থায়ীভাবে ট্রাকে করে আলু বিক্রি হবে। এছাড়া একটি ট্রাক ভ্রাম্যমাণ হিসেবে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে ঘুরে আলু বিক্রি করবে।
খোলাবাজারে ন্যায্যমূল্যে আলু কিনতে পেরে অনেকেই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস জানান। শুধু তিন-চারটি পয়েন্টে নয় প্রতিটি বাজারে এই কার্যক্রম চালুর দাবি জানান এলাকাবাসী।
সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সদিচ্ছা থেকে খোলাবাজারে ৩৫ টাকা দরে আলু বিক্রি শুরু করা হয়েছে। কোল্ড স্টোরেজে যতদিন আলু থাকবে, ততদিন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে, বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু সরবরাহ করছে।
