ঢাকা,  বুধবার  ০৮ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

উত্তাল সাগর, শত শত মাছ ধরা ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে

প্রকাশিত: ১৬:৫০, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

উত্তাল সাগর, শত শত মাছ ধরা ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে

.

উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপে সাগর উত্তাল হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ে তীরে ফিরছে মাছ ধরার শত শত ট্রলার। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালীর বড় দুটি মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুর ঘাটে আশ্রয় নেন জেলেরা।

জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ৪ দিন আগেও সমুদ্র উত্তাল ছিল। এরপরে গতকাল থেকে আবার আবহাওয়া খারাপ হতে থাকে। এর আগে গত ২৩ জুলাই ৬৫ দিনে নিষেধাজ্ঞা কাটানোর পরে এ পর্যন্ত প্রায় ৮-১০ বার আবহাওয়া খারাপের জন্য তীরে ফিরে আসতে হয় জেলেদের। এতে একদিকে লোকসানের মুখে পড়ছে তারা অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়ছে মৎস্য পেশা।

আলীপুর-মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র দুটি ঘুরে দেয়া যায়, স্থানীয় জেলে ছাড়াও কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ভোলা, মোংলা, বাসখালিসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জেলেরা আবহাওয়া খারাপ হলে এখানে আশ্রয় নেন। জেলেদের পদচারণায় মুখর থাকলেও কমেছে মাছ বিক্রির হাঁকডাক।

এফবি রায়হান ট্রলারের সৈয়দ মাঝি বলেন, আমরা সমুদ্র যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র উত্তাল হয়। অনেক চেষ্টা করেও আমরা থাকতে পারিনি। তীরে চলে আসতে হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে বিনা সুদে ঋণের আবেদন করছি। এছাড়া আমাদের বেঁচে থাকা কষ্টকর।

কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন স্থানের জেলেরা এই বন্দরে আশ্রয় নিচ্ছেন। বছরে বেশ কয়েকবার আবহাওয়া বৈরিতায় আমরা মৎস্য পেশা নিয়ে হুমকিতে। তাই জেলেদের সহায়তা হিসেবে সরকারে ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের দাবি জানাচ্ছি।

পটুয়াখালীর সহকারী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক কাজী কেরামত হোসেন বলেন, সমুদ্রে লঘুচাপের কারণে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। সোমবার বেলা ১২টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালীতে ৫০.৫ মিলিমিটার এবং কলাপাড়ায় ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। জেলার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণও হতে পারে।

পটুয়াখালীর বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এলাকায় অবস্থানরত সকল মাছধরা ট্রলার ও নৌযানকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।