র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার তিন আসামি
দুটি পৃথক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮। এর মধ্যে কুয়াকাটা ভ্রমণে নিয়ে বলাৎকারে শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় মাদ্রাসা পরিচালক সেলিম গাজী ও জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করিম সরদার ও তার ছেলে ইয়াছিন সরদারকে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সদর র্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুরে মদিনাতুল উলুম কওমিয়া হাফিজিয়া ও নূরাণী কিণ্ডার গার্ডেন এবং এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ সেলিম গাজী দীর্ঘদিন ধরেই ওই মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করে আসছিল। সর্বশেষ ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুয়াকাটা শিক্ষা সফরে যান। ওই রাতে শিশুটিকে বেশ কয়েকবার বলাৎকার করেন। ২০২৩ সালের ৭ আগস্ট শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখান থেকে ১৩ আগস্ট মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
চিকিৎসকরা জানান, পায়ুপথে শিশু শিক্ষার্থীর ক্যান্সার ধরা পড়েছে। যা তার রক্তে ছড়িয়ে পড়েছে। ২৫ আগস্ট সেই হাসপাতালে মারা যান ১২ বছরের শিশু রাফি।
এ ঘটনায় নিহত শিশুটির পিতা রেজাউল আকন বাদী হয়ে মাদ্রাসা পরিচালক হাফেজ সেলিম গাজীর বিরুদ্ধে বাউফল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই আত্মগোপনে চলে যান মাদ্রাসা পরিচালক।
অপরদিকে বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার ৩নং সফিপুর ইউনিয়নের মাছুয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা রায়হান সরদারকে (৩২) ১৫ আগস্ট দুপুরে তারই আত্মীয় করিম সরদার (৫০), তার স্ত্রী সাফিয়া বেগম ও ছেলে ইয়াছিন সরদার মিলে কুপিয়ে হত্যা করে। মূলত জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা হলে র্যাব অভিযান চালিয়ে রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ঢাকার বংশাল থানা এলাকা হতে করিম সরদার ও তার ছেলে ইয়াছিন সরদারকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-৮ অধিনায়ক জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মুলাদী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।