ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কাশিমপুরে মন্দির ভাঙচুরে জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ

প্রকাশিত: ১২:০৩, ২১ অক্টোবর ২০২১

কাশিমপুরে মন্দির ভাঙচুরে জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ

মহানগরের কাশিমপুর বাজার এলাকায় তিন মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। প্রতিমা ভাঙচুরের নেতৃত্বে ছিলেন মহানগরের কোনাবাড়ি ইউনিটের জামায়াতের সভাপতি রবিউল ও শিবিরের দুই কর্মী। এরই মধ্যে এক শিবিরকর্মী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে ওই শিবিরকর্মীর নাম জানায়নি পুলিশ।
বুধবার (২০ অক্টোবর) গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) জাকির হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় এক জামায়াত নেতা এবং দুই শিবির কর্মীসহ এক পোশাক কারখানার কয়েকজন কর্মী হামলা ও ভাঙচুরে নেতৃত্বে দিয়েছেন।
জাকির হাসান বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ২০ জনকে দুই দিন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এক শিবিরকর্মী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর সাত জনকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ১৪ অক্টোবর সকালে প্রতিমা ভাঙচুরের নেতৃত্বে ছিলেন মহানগরের কোনাবাড়ি ইউনিটের জামায়াতের সভাপতি রবিউল ও শিবিরের দুই কর্মী। রবিউল ইতোপূর্বে এক মাদ্রাসায় ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাদের সঙ্গে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার কয়েকজন কর্মীও হামলায় অংশ নিয়েছিলেন। হামলায় আরও যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
কাশিমপুর থানার ওসি মাহবুবে খোদা বলেন, বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে কাশিমপুর বাজারের শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবুল রুদ্র, কাশিমপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার পারিবারিক মন্দির পরিচালনাকারী সুবল চন্দ্র দাস ও পালপাড়া নামাবাজার এলাকার সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পরিমল পাল বাদী হয়ে মামলা তিনটি করেছেন। প্রতিটি মামলায় অজ্ঞাত ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় প্রথম ২০ জনকে গ্রেফতারের পর আদালতের নির্দেশে দুই দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরে আরও আট জনকে গ্রেফতারের পর আদালতের নির্দেশে সোমবার (১৮ অক্টোবর) সাত জনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবুল রুদ্র বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে পূজারিরা মন্দিরে পূজা-অর্চনা করছিলেন। সকাল আনুমানিক সোয়া ৭টার দিকে কয়েকশ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে মন্দিরে হামলা চালায়। তারা লক্ষ্মী ও অসুরের প্রতিমা ভাঙচুর করে চলে যায়। এতে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, একই দিন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দেড় থেকে দুইশ লোক কাশিমপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী সুবল দাসের পারিবারিক মন্দিরে এবং স্থানীয় পালপাড়া নামাবাজার সার্বজনীন মন্দিরে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা মন্দিরের সব প্রতিমা ভাঙচুর করে। হামলার সময় ২০ হামলাকারীকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন