ঢাকা,  শনিবার  ২৭ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুরে দুই মাথা, চার চোখের শাবকের জন্ম দিল এক গাভী

প্রকাশিত: ১২:১০, ২০ আগস্ট ২০২১

গাজীপুরে দুই মাথা, চার চোখের শাবকের জন্ম দিল এক গাভী

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জয়দেবপুর মাড়িয়ালী কলাবাগান এলাকায় একটি খামারে হলিস্টিন ফিজিয়ান জাতের গাভী গরুর দুইমাথা চার চোখের শাবক দেখতে উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন। গাভীর বাচ্চার দুই মাথা, চার চোখ! শুনেই অবাক হন অনেকে। অবাক হওয়া এরকম অনেক মানুষ গত তিনদিন যাবত ভিড় করছেন মধ্য মারিয়াল এলাকায় মো: আসলাম উদ্দীন সরকারের খামারে। কৌতুহলী মানুষ ওই খামারে দূর-দূরান্ত থেকে এসে ভিড় করছেন।

সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায়, সাদার মধ্যে ছিট কালো রংয়ের ওই গাভীর বাচ্চা দেখতে চারপাশে ভিড় জমিয়ে নানা রকম গল্প করছেন মানুষ। এতের মধ্যে আজহার শাওন নামে এক যুবক বলেন, এমন গাভীর বাচ্চা আগে কখনো দেখেনি। ফুটফুটে এরকম কোমল বাচ্চা-দেখতে খুব ভালো লাগছে।

খামারী মো: আসলাম উদ্দিন সরকার বলেন, দুই বছর আগে কিশোরগঞ্জ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকায় হলিস্টিন ফিজিয়ান জাতের মা গাভীটি কিনে লালন-পালন শুরু করেন। তার ওই খামারে আরো ৭/৮টি একই জাতের গরু রয়েছে। গত তিনদিন আগে একটি গাভীর দুই মাথা, চার চোখের একটি শাবকের জন্ম হয়। এর আগে ওই মা গাভীটি গত ১১ মাস আগে স্বাভাকি একটি বাচ্চা প্রসব করেছে। এর পর ওই গাভীটির কৃত্তিমভাবে বীজ প্রয়োগ করার পর এ অস্বাভাবিক বকনা (স্ত্রী লিগ্ন) বাচ্চা প্রসব করে। এখন ওই শাবক দেখতে আশপাশসহ দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে ভীড় করছে। বাচ্চটিকে খামার থেকে বের করে বাড়ির ভেতরে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শাবকটিকে লালন করা হচ্ছে। জন্মের পরপরই মায়ের কাছ থেকে বাচ্চাকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। স্ত্রী বাচ্চা প্রসব করা গাভীটিও সুস্থ্য রয়েছে বলেও তিনি জানান।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান মিয়া হান্নু জানান, সংবাদ পেয়ে দেখতে গাভীর বাচ্চাটিকে দেখতে গিয়েছিলাম। বাচ্চাটি খুব বেশি নাড়াচাড়া করতে পারে না। প্রচুর মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় করছে। খামারীকে ডাক্তারি পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।

এসিআই এনিমেল হেল্থ জেনেটিক লাইফ স্টক এসিসটেন্ড ও কৃত্তিম প্রজণন কর্মী ডাক্তার মো: সোলায়মান হোসেন বলেন, মা গাভীটিক আগে থেকেই তাদের তত্ত¡াবধানে ছিলো। গত নয় মাস দশদিন আগে মা গাভীটিকে প্রজণন বীজ দেওয়া হয়। স্বাভাবিক সময়ের মধ্যে বাচ্চাটি প্রসব করে। বাচ্চাটি প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে। এখন পর্যন্ত অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে শাবকটি। মা গাভীর দুধ ছাড়াও সেলাইন ও পাওয়ারজেল খাওয়ানো হচ্ছে। যেহেতু শাবকটির মধ্যে কোন প্রকার অসুস্থতা নেই তাই সাধারণ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে মাথা ভাড়ি হওয়াতে শাবকটি উঠে দাঁড়াতে পাড়ছে না।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন