ঢাকা,  শনিবার  ২৭ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

খানসামায় রেড এন-৫৩ পেঁয়াজ চাষে সাফল্য

প্রকাশিত: ১১:০৭, ৮ জানুয়ারি ২০২২

খানসামায় রেড এন-৫৩ পেঁয়াজ চাষে সাফল্য

পেঁয়াজ উৎপাদন করে আশার কথা শোনালেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কৃষক শিরিল মূর্মু। তিনি পেঁয়াজের গ্রীষ্মকালীন জাত চাষে সাফল্য পেয়েছেন। এতে পেঁয়াজের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে চাষীরা। পেঁয়াজ চাষে ২০ হাজার টাকা খরচ করে লাখ টাকা আয় করছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা। স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অন্যান্য কৃষকরাও এখন ছুঁটছেন নতুন এ জাতের পেঁয়াজ চাষে।
জানা গেছে, ১০ বছর আগে শীতের ফসল পেঁয়াজের গ্রীষ্মকালীন জাত উদ্ভাবিত হলেও আগ্রহ দেখায়নি কোন কৃষক। বিভিন্ন সময় দেশে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পায়। তখনই আলোর মুখ দেখতে নাসিক রেড এন-৫৩ নামের এ পেঁয়াজ। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, গত বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ১৮০ বিঘা জমিতে নাসিক রেড এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ হয়।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৮০ বিঘা জমিতে নাসিক রেড এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ চাষ করা হয়। একই সাথে এই নতুন জাতের পেঁয়াজ চাষ করার জন্য ১৮০ জন কৃষককে বীজ, সার, পলিথিন ও পরিচর্যা বাবদ খরচ প্রদান করা হয়। অল্প খরচে লাভবান হওয়ায় কৃষকরা এখন ছুটছে এই নতুন জাতের পেঁয়াজ চাষে। বর্তমানে এ জাতের পেঁয়াজ চাষের সফলতার কথা উঠে এসেছে চাষিদের নিকট থেকেও।

উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া পাঁচপীর এলাকার কৃষক শিরিল মুর্মু জানান, তিনি ৩৩ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন এ পেঁয়াজ চাষ করেছেন। ৯০-১১০ দিনে মধ্যে এ পেঁয়াজ বিঘায় ৭০-৮০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। বাজারে এখন প্রতিকেজি পেঁয়াজের মূল্য ৩৫-৪০ টাকা।  এছাড়াও গ্রীষ্মকালীন এ নতুন জাতের পেঁয়াজ চাষ করতে বিঘাপ্রতি খরচ হয় ১৫-২০ হাজার টাকা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বাসুদেব রায় জানান, পেঁয়াজের সংকট কমাতে সম্ভাবনাময় এই জাত চাষে কৃষি বিভাগ সবধরণের সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করছে। যার ফলে কৃষকরা আর্থিক ভাবে লাভবান হবে এবং দেশে পেঁয়াজ সংকট কমে যাবে।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন