করোনাভাইরাসের এই সময়ে লেবুর চাহিদা বেড়ে গেছে। লেবু চাষ করে ভাল দামও পাওয়া যাচ্ছে। আবার উন্নত জাতের চারা আর সঠিক পরিচর্যা করলে ব্যাপক ফলনও হচ্ছে। কিন্তু নগরায়নের কারণে যখন চাষযোগ্য জমি সংকট, তখন বিকল্প হিসেবে চাষযোগ্য করতে বাড়ির ছাদকে বেছে নিচ্ছেন অনেকে। এই সময়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের এক কলেজ শিক্ষক নীল রতন সাহা নিপু তার বাড়ির ছাদেই হাজারি লেবুর বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছের পাতা আর লেবু মিলে মিশে একাকার। তার লেবুর বাম্পার ফলনে এলাকাবাসীর দৃষ্টি কেড়েছে এবং ছাদ বাগানে লেবু চাষে অনেকে উৎসাহী হয়েছেন।
আগে চাষাবাদ এবং বিভিন্ন ফল ও ফুলের বাগান হতো মাটিতে। কিন্তু দিন দিন নগরায়নের কারণে সংকুচিত হচ্ছে চাষ যোগ্য জমি। মানুষ চাহিদা ও শখ পূরণে ফল-ফুলের চাষ করতে বিকল্প পথ খুঁজছে। অনেকেব ফল-ফুল কিংবা লেবুসহ বিভিন্ন ফলের চাষ করতে নিজ নিজ বাড়ির ছাদকেই বেছে নিয়েছেন। কেউ কেউ বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করছেন ছাদে।
কলেজ শিক্ষক নীল রতন সাহা নিপু জানান, ছোটবেলা থেকে ফুলের বাগানের প্রতি দুর্বলতা ছিল। সেই আগ্রহ থেকেই বিভিন্ন ফুল ও ফলের বাগান করি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ৬ বছর আগে শ্রীমঙ্গল এলাকার লেবুর চারা লাগিয়েছি। প্রথমে তিনটি সিমেন্টের বড় রিং কিনে, তাতে গোবর সারের মাটি দিই। এরপর সাধারণ মাটি দিয়ে ভরাট করে তাতে হালকা পানি দিয়ে রেখে দিই। এর কয়েকদিন পর লেবুর চারা লাগাই। এক বছর পর থেকে গাছে কিছু কিছু লেবু ধরে। প্রথমবারের ফলগুলি ফেলে দিয়েছি। পরের বছর থেকে প্রতিটি ডালে লেবু ধরেছে। এবার এতো বেশী লেবু ধরেছে যে, পাতা আর লেবু সমানে সমান। তাই এলাকাবাসীই নাম দিয়েছে হাজারি লেবু। নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে কিছু লেবু স্থানীয়দের দিয়েছে। কিছু লেবু বিক্রি করে কিছু অর্থ আয় হয়েছে। শখের এই লেবু বাগানটি অবসর সময় কাটানোরও নিত্য সঙ্গী। যে কেউ বাড়ির ছাদকে ফেলে না রেখে যেকোনো ফুল-ফলের চাষ করলে পরিবেশও ঠিক থাকবে এবং আর্থিকভাবে লাভবানও হবেন।
বীরগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জিত রায় জানান, বীরগঞ্জ এলাকায় ছাদ বাগান বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। উন্নত চারা রোপণ এবং সঠিক পরিচর্যা করলে ছাদেও এখন সব ধরনের ফল-ফুলের চাষ সম্ভব এবং এতে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে আর্থিকভাবেও লাভবান হওয়া যায়।
গাজীপুর কথা