ঢাকা,  মঙ্গলবার  ৩০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

দেশে প্রথমবারের মতো রেলস্টেশনে বসানো হচ্ছে টিকিট ভেন্ডিং মেশিন

প্রকাশিত: ২১:০১, ২২ এপ্রিল ২০২৪

দেশে প্রথমবারের মতো রেলস্টেশনে বসানো হচ্ছে টিকিট ভেন্ডিং মেশিন

সংগৃহিত ছবি

দেশে প্রথমবারের মতো ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন রেল স্টেশনে বসানো হচ্ছে টিকিট ভেন্ডিং মেশিন। এতে সহজেই যাত্রীরা কাউন্টার বা অনলাইনে টিকিট কাটার বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পাবে। আগামী সপ্তাহ থেকেই আন্তঃনগর ও স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরা ভেন্ডিং মেশিন থেকে কাটতে পারবেন টিকিট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন যুগান্তকারী পদক্ষেপে কমবে যাত্রী হয়রানি।

এখন ট্রেনের টিকিট কাটা যায় কাউন্টার এবং অনলাইনে। এর মধ্যে অনলাইনে কাটার পর মূল টিকিট সংগ্রহ করতে হয় কাউন্টার থেকে। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের। এ ভোগান্তি কমাতে এবার রেলস্টেশনে চালু হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন।

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে কমলাপুর রেলস্টেশনে চারটি, বিমানবন্দর স্টেশনে দুটি এবং চট্টগ্রামে দুটিসহ বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে বসছে ১৫টি স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন।

রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী জানান, গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে আগের বরাদ্দ করা খরচেই ১৫টি টিকিট ভেন্ডিং মেশিন বসানো হবে। এতে যাত্রীরা সহজেই কোনো বিড়ম্বনা ছাড়া টিকিট কাটতে পারবেন।

এই মেশিনের মাধ্যমে কয়েক মিনিটের মধ্যেই নির্দিষ্ট গন্তব্যের টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। মেশিনে কোনো সমস্যা হলে পাশেই থাকছে ১০টি সার্ভিস বুথ। আপাতত মোবাইল ব্যাংকিং ও এটিএম কার্ড দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করা যাবে।

রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির জানান, টিকিট ভেন্ডিং মেশিনে যাত্রীরা নিজেদের পছন্দমতো আসনশ্রেণি চিহ্নিত করে প্রেস করার পর নিজেদের মোবাইল নম্বর দেবেন। সেই নম্বরে ওটিপি যাবে। ওটিপি দিয়ে টাকা জমা দিলেই যাত্রীরা টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে রেলের সেবার মান উন্নত হবে। তবে রেলের টিকিট সংগ্রহ ছাড়াও অন্যান্য খাতে সেবার মান বাড়ানো জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান জানান, এই অত্যাধুনিক মেশিন বসানোর পর এগুলোর সঠিক পরিচর্যা বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষ এবং ডেডিকেটেড আইসিটি টিম দরকার। নতুবা একটা সময় পর এই মেশিনগুলো বিকল বা অকার্যকর হয়ে পড়বে।

রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব স্টশনে বসানো হচ্ছে ৬০টি জায়ান্ট স্ক্রিন। যাতে ট্রেনের সময় সূচির পাশাপাশি কত আসন খালি আছে তা জানতে পারেন যাত্রীরা।