![কাপাসিয়ায় দুটি বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন প্রাচীর ভেঙে ফেলেছে দুষ্কৃতকারীরা কাপাসিয়ায় দুটি বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন প্রাচীর ভেঙে ফেলেছে দুষ্কৃতকারীরা](https://www.gazipurkotha.com/media/imgAll/2023September/Screenshot_5-2309151220.jpg)
দুটি বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভাঙা প্রচীর ও বিদ্যালয়।
গাজীপুরের কাপাসিয়ার চাঁদপুর ইউনিয়নের মৈশাধামনা উচ্চ বিদ্যালয় ও মৈশাধামনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলেছে দুষ্কৃতকারীরা। এতে বিদ্যালয় দুটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের মৈশাধামনা গ্রামের একই মাঠের উত্তর ও পশ্চিম পাশে মৈশাধামনা উচ্চ বিদ্যালয় এবং পূর্ব প্রান্তে মৈশাধামনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। বিদ্যালয় দুটির ভবন লাগোয়া পূর্ব পাশ দিয়ে গাজীপুর-মৈশাধামনা-দমদমা নামক অতি ব্যস্ত সড়কের অবস্থান। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয় চলাকালে শত শত যানবাহন চলাচল করে। এমনকি এখানে সড়কে কিছুটা বাঁক মোচর থাকার কারণে প্রায়ই যানবাহনগুলো দুর্ঘটনা এড়াতে মাঠে প্রবেশ করলে টিফিন পিরিয়ডে শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার কবলে পড়ার উপক্রম হয়। তাছাড়া আশপাশের বাসিন্দারা বিদ্যালয় চলাকালে তাদের গবাদি পশুগুলো মাঠে ছেড়ে দিয়ে থাকে। পাঠদান চলাকালে শিক্ষার্থীরা অনেক সময় যানবাহন ও গবাদি পশুগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে শ্রেণি কার্যক্রম ব্যাহত হয়। দীর্ঘ বহু বছর ধরে চলমান এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মৈশাধামনা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি সীমানা প্রাচীরের জন্য ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় গাজীপুর জেলা পরিষদ থেকে এক লাখ টাকা অনুদান পায়। পরে গত মঙ্গলবার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই সড়কের পাশ দিয়ে দুটি বিদ্যালয়ের ভবন সংযুক্ত করে এবং মাঝখানে একটি ১৪ ফুট ফটকের জায়গা রেখে প্রায় ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি সীমানা প্রাচীর নির্মাণকাজ শুরু করেন। পরে গত দুই দিনে নির্মিত প্রায় ৪ ফুট উঁচু সীমানা প্রাচীরটি বুধবার গভীর রাতে দুষ্কৃতকারীরা ভেঙে ফেলে।
মৈশাধামনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুন্নাহার বেগম ঢাকা টাইমসকে বলেন, স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয় চলাকালে মাঠে গরু ছাগল ছেড়ে দেয়। ফলে শিক্ষার্থীরা প্রাত্যহিক সমাবেশ ও খেলাধুলা করতে পারে না। তাছাড়া অনেক সময় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের বারান্দায় খেলাধুলার সময় হঠাৎ করে সড়কে চলে যায়। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দেয়। এমতাবস্থায় অতি জরুরি ভিত্তিতে এখানে একটি প্রাচীর নির্মাণ আবশ্যক হয়ে উঠেছে। তবে স্থানীয় একটি পক্ষ সীমানা প্রাচীরের বিরোধিতা করছে। তারাই রাতের আঁধারে এটি ভেঙে ফেলে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে মৈশাধামনা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মোজাম্মেল হক জানান, প্রাচীর ভাঙার বিষয়টি তারা উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন এবং তারা এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম ঢাকা টাইমসকে জানান, এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে থানায় জিডি করতে বলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।