ঢাকা,  শনিবার  ২৭ জুলাই ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ইউপি চেয়ারম্যানের সই জাল করে ভুয়া সনদ প্রদানের অভিযোগ

প্রকাশিত: ২২:৫৯, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইউপি চেয়ারম্যানের সই জাল করে ভুয়া সনদ প্রদানের অভিযোগ

.

গাজীপুরের কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে অসংখ্য ভুয়া সনদ প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুয়া সনদ উদ্ধারে অভিযানে নেমেছেন ইউপি চেয়ারম্যান এম.এ জলিল। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

চেয়ারম্যান এম.এ জলিল জানান, তিনি নিয়মিতভাবে ইউনিয়নবাসীর সব রকমের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে স্বাক্ষর করে আসলেও বেশ কিছুদিন ধরে একটি চক্র তার স্বাক্ষর জাল করে অসংখ্য ভুয়া কাগজপত্র সরবরাহ করছেন। ওই চক্রের দেওয়া ভুয়া ওয়ারেশান সনদ দেওয়ার কারণে জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় গাজীপুর আদালতে তাকে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিতে হয়েছে।

তিনি আরও জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করলে তিনি টঙ্গীর বাসায় চলে যান। পরে ৩ তারিখে সারাদিন বিশ্রামে থেকে সন্ধ্যার পর টোকের গ্রামের বাড়িতে আসেন। পরের দিন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, ৩ তারিখে টোক ইউনিয়ন পরিষদে আসা বেশ কয়েকজন লোকের সাথে রফাদফা করে স্থানীয় চেওরাইট গ্রামের মৃত আমীরউদ্দিনের ছেলে সৈয়দ আলী আহসান চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে নাগরিকত্ব সনদ, জন্ম নিবন্ধন সনদ ও মৃত্যুসনদসহ বিভিন্ন সনদ ইস্যু করেছেন। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি উলুসারা গ্রামের বোরহান উদ্দিন ও চেওরাইট গ্রামের আতিকুল ইসলামের কাছ থেকে ২টি জাল স্বাক্ষর করা সনদ ফিরিয়ে আনেন। তাছাড়া গত আগস্ট মাসের ৭ তারিখে টোক নগর গ্রামের ইরফান মিরাজের নামে একই ব্যক্তির জাল স্বাক্ষর করা অপর একটি জন্ম নিবন্ধন সনদও তিনি ফিরিয়ে এনেছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় সুলতানপুর গ্রামের রতন মিয়া জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর তিনি বিশেষ প্রয়োজনে টোক ইউপি কার্যালয়ে গেলে সেখানে অন্তত ৫টি বিভিন্ন ধরনের সনদে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের স্থানে সৈয়দ আলী আহসানকে স্বাক্ষর করতে দেখেছেন। এর মধ্যে তিনটি সনদ নিয়েছেন ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য (১,২,৩) মোসা. কবিতা আক্তার ও অন্য এক ব্যক্তি নিয়েছেন দুইটি সনদ।

সংরক্ষিত নারী সদস্য (১,২,৩) মোসা. কবিতা আক্তার জানান, তিনি গত ৩ তারিখে পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে দেখতে পান সুলতানপুর গ্রামের রতন মিয়া সৈয়দ আলী আহসানের মাধ্যমে কিছু নাগরিকত্ব ও জন্ম নিবন্ধন সনদ স্বাক্ষর করাচ্ছেন। তখন তিনিও তিনটি নাগরিকত্ব সনদ রতন মিয়ার হাতে দিলে তিনি সৈয়দ আলী আহসানের কাছ থেকে স্বাক্ষর করে আনেন।

এ ব্যাপারে রতন মিয়া বলেন, তিনি ওই দিন বিশেষ দরকারে ইউপি অফিসে গিয়েছিলেন। সেখানে কমপক্ষে ৫টি বিভিন্ন ধরনের সনদে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের জায়গায় আলী আহসানকে স্বাক্ষর করতে দেখেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সৈয়দ আলী আহসান জানান, জাল সনদ ইস্যুর সাথে তিনি জড়িত নন। একটি মহল ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে টোক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ জলিল জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে একটি দুষ্ট চক্র তার স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন ধরণের ভুয়া সনদ ইস্যু করে আসছে এবং মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অচিরেই তিনি এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন এবং ভুয়া সনদগুলো উদ্ধার করবেন।