ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

বই পড়ার অনুপ্রেরণা

প্রকাশিত: ১৬:৪১, ২২ মে ২০২৩

বই পড়ার অনুপ্রেরণা

গাজীপুরে কালীগঞ্জ উপজেলা সদরে পাঠাগারের নামফলক।

গাজীপুরের কালীগঞ্জে শিক্ষার প্রসারে ২০২১ সালের শেষের দিকে স্থানীয় সাংসদ মেহের আফরোজ চুমকি ও তৎকালীন ইউএনও মো. শিবলী সাদিকের উদ্যোগে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় কালীগঞ্জ কেন্দ্রীয় পাঠাগার। ইউএনও মো. শিবলী ২০২২ সালের প্রথম দিকে এ উপজেলা থেকে বদলি হন। যোগ দেন বর্তমান ইউএনও মো. আসসাদিকজামান।

কালীগঞ্জ পৌর এলাকার পুরাতন ব্যাংকের মোড়ে এই পাঠাগার। শুরুর দিকে পাঠাগারে বেশ পাঠক সমাগম হতে থাকে। পরে অজ্ঞাত কারণে পাঠক সমাগম কমতে থাকে। কিন্তু ইউএনও শিবলী সাদিকের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে পাঠাগারে পাঠক আকর্ষণ করতে নানা উদ্যোগ নেন ইউএনও আসসাদিকজামান। পাঠাগারের চারপাশের দেয়ালে লেখা হয় বই নিয়ে দেশি-বিদেশী মনিষীদের উক্তি।

কালীগঞ্জ রাজা রাজেদ্র নারায়ণ (আরআরএন) পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রাশেদিন সরকার রূপণ বলে, অবশ্যই বই পড়তে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। বড় মনের মানুষ হওয়ার জন্য বইয়ের সান্নিধ্যে আসতেই হবে। পাঠাগারের দেয়ালে জ্ঞানী গুণীদের উক্তি প্রশংসার দাবিদার।

কালীগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া তাবাসসুম দিশা বলে, বিক্ষিপ্তভাবে উক্তিগুলো আমরা হরমেশাই পাই। কিন্তু ইউএনও স্যারের উদ্যোগে এক সাথে পুরো একটি প্যাকেজ সত্যি ব্যতিক্রম। এটি দেখে আমরা উৎসাহ পাই।

সেন্টমেরিস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী তানজিদা আক্তার সামিয়া বলে, প্রবেশের পথে লাইব্রেরির দেয়ালে দেয়ালে যে লেখাগুলো রয়েছে, সেগুলো পড়লে আমাদের মাঝে বই পড়ার অনুপ্রেরণা জাগে।

কালীগঞ্জ কেন্দ্রীয় পাঠাগারের লাইব্রেরিয়ান সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ইউএনও আসসাদিকজামান স্যারের উদ্যোগে পাঠাগারের সীমানায় বড় বড় মনিষীদের উক্তি দিয়ে যে দেয়াল লিখন হয়েছে তা দেখে পাঠাগারে পাঠক সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ মসলিন কটন মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রহমান আরমান বলেন, এতে কোন সন্দেহ নেই, পৃথিবীর বেশীরভাগ মানুষ বই পড়তে পছন্দ করে। পাঠাগারের চৌহদ্দিতে মনিষীদের বেশ কিছু উক্তি দেয়ালে লেখা হয়েছে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।

দুর্বাটি এম. ইউ কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মুফতি মো. রুহুল আমিন বলেন, আলো যেমন জাগতিক নিয়মে অন্ধকার দূর করে সব কিছু মূর্ত করে, তেমনি বই মানুষের মনের ভেতরে জ্ঞানের আলো এনে যাবতীয় অন্ধকারকে দূর করে চেতনার আলোকে সবকিছুকে উদ্ভাসিত করে দেখায়। শ্রেষ্ঠ শিক্ষা হল আত্মশিখন। আর বই সেই আত্মশিখনের শ্রেষ্ঠ সহায়ক।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসসাদিকজামান বলেন, পাঠাগার চত্ত্বরে নিয়মিত বই মেলা ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এখানে পাঠক যারা আসেন তারা প্রবেশের সময় ও বের হওয়ার সময় দেয়ালিকায় মনিষীদের উক্তি বা বাণীগুলো দেখে সেভাবে চিন্তা করতে পারবেন।