ঢাকা,  মঙ্গলবার  ৩০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

অতিরিক্ত গরমে কোন রোগ বেশি হয়, সুস্থ থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত: ১০:৫০, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

অতিরিক্ত গরমে কোন রোগ বেশি হয়, সুস্থ থাকতে যা করবেন

ফাইল ছবি

গরমের সঙ্গে জনজীবনে বাড়ছে অস্বস্তি। এ অবস্থায় দিনে রাস্তায় বের হওয়াই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতিরিক্ত গরমে নাজেহাল সবাই। আবহাওয়া অফিস বলছে, গরম আরও বাড়তে পারে।

গরমে অস্বস্তিতে ভোগার পাশাপাশি অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন। ডায়েরিয়া, বমির মতো সমস্যা লেগেই আছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ঝুঁকি বাড়ছে আরও কিছু অসুখের।

গ্রীষ্মের মৌসুম শুরুর সময় থেকেই ‘হিট ওয়েভ’ সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই তাপপ্রবাহে কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে?

হিট পিডিমা : গরমে অনেকের হাত-পা ফুলে যায়। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে ‘হিট পিডিমা’ বলা হয়। অনেকেরই হয় এমন। বিশেষত পা বেশি ফুলে যায়। কখনো আবার হাত ও পা একসঙ্গে ফুলে যায়। এই রোগের বিশেষ কোনো ওষুধ নেই। বিশ্রাম নিলে, বেশি করে পানি খেলে আর উঁচু বালিশের উপর পা তুলে রাখলে দ্রুত সেরে ওঠা যায়।

হিট ক্র্যাম্প : গরমে কায়িক পরিশ্রম বেশি হলে কিংবা দীর্ঘক্ষণ শরীরচর্চা করলে ‘হিট ক্র্যাম্প’ হতে পারে। এমন হলে কাঁধ, ঘাড় ও ঊরুর পেশিতে টান ধরে। বেশি করে পানি খেলে অবশ্য স্বস্তি মেলে। তবে শুধু পানি না খেয়ে স্যালাইন খেলে বেশি উপকার হয়। সেই সঙ্গে বিশ্রাম নিলে আর রোদ এড়িয়ে চললেই টান ধরা কমে যাবে।

হিট টিটানি : তীব্র তাপপ্রবাহে অনেক সময় হাত-পা বেঁকে যায়। হাত-পায়ের সাড় চলে যায়। হাত আর পা ভাঁজ করতেও বেগ পেতে হয়। এ ধরনের সমস্যাকে ‘হিট টিটানি’ বলা হয়। এমন হলে প্রাথমিকভাবে বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। সেইসঙ্গে হাত-পা মালিশ করতে পারলে ভালো। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলে আর পরিমাণ মতো পানি খেলেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠা যায়।

হিট সিঙ্কোপ : প্রচণ্ড রোদে বের হলে অনেক সময় মাথা ঘুরে যাওয়া, চোখমুখে অন্ধকার দেখার মতো কিছু শারীরিক সমস্যা হয়। এগুলোকেই ‘হিট সিঙ্কোপ’ বলা হয়। দীর্ঘক্ষণ আগুনের আশপাশে থাকলেও এমন হতে পারে। এমন হলে সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানিতে গোসল করে নেওয়া জরুরি। কিংবা বরফ পানি দিয়ে শরীর মুছে নিতে পারলে ভালো। অবশ্যই বেশি করে পানি খেতে হবে। না হলে যেকোনো সময় এমন হতে পারে।

হিট স্ট্রোক : গরমের সময়ে সবচেয়ে ঝুঁকি থাকে হিট স্ট্রোক হওয়ার। এই স্ট্রোক হলে শরীর অনেক শুকিয়ে যায়। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। শরীরের ভেতরের অংশ গরম হয়ে যায়। কিন্তু হাত-পা ঠান্ডা থাকে। হৃৎস্পন্দনের গতি কমে যায়। শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। কারো ক্ষেত্রে খিঁচুনি উঠতে পারে। ভুল বকা কিংবা সাময়িকভাবে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়াও হিট স্ট্রোকের লক্ষণ। এমন হলে রোগীকে ভালো করে গোসল করিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

ঘামাচি : ঘামাচি গরমের সবচেয়ে বড় সমস্যা। কিন্তু অনেকে বিষয়টিকে ততটা গুরুত্ব দেন না। ঘামাচি কমাতে অনেকেই পাউডার ব্যবহার করেন। তাতে হিতে বিপরীত হয়। পাউডারের কারণে ঘর্মগ্রন্থিগুলো সংক্রমণ হয়। তখন চিকিৎসকের কাছে ছুটতে হয়। তবে আগে থেকেই বিষয়টি নিয়ে সচেতন হলে বাড়াবাড়ি হওয়ার সুযোগ থাকে না।