ঢাকা,  মঙ্গলবার  ৩০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

আমিরাতে এমভি আবদুল্লাহ: সংবাদ সম্মেলনে কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত: ২২:৪৪, ২২ এপ্রিল ২০২৪

আমিরাতে এমভি আবদুল্লাহ: সংবাদ সম্মেলনে কর্তৃপক্ষ

ফাইল ছবি

সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলসীমায় এসে পৌঁছেছে সোমালিয় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। শারজাহ বহির্নোঙরে থাকা জাহাজটি বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় যথাসময়ে বন্দরে ভিড়তে পারেনি। সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শারজাহ আজমান আল হামিরিয়া বন্দরে জাহাজটি নোঙর করে।

সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে জাহাজের নাবিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই ও জাহাজের মালিক পক্ষ। সোমবার (২২ এপ্রিল) আমিরাতের আজমানস্থ রেডিসন ব্লু হোটেলে বিকেল ৩টায় এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর বলেছেন, জাহাজের নাবিকরা সুস্থ আছেন। তাদের মনোবলও ভালো আছে। তারা আমদের মাঝে ফিরে এসেছেন এটাই বড় পাওয়া। বাংলাদেশ মিশন তাদের সকল প্রকার সহযোগিতায় কাজ করবে বলে তিনি জানান।

জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর শাহরিয়ার জাহান বলেন, জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের ওপর কোনও অমানবিক আচরণ করেনি। তিনি আরব আমিরাতের বাংলাদেশ মিশনের সার্বিক সহযোগিতার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর, দুবাই ও উত্তর আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন, দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ফার্স্ট সেক্রেটারি (মিডিয়া) মোহাম্মদ আরিফুল রহমান, ফার্স্ট সেক্রেটারি বদরুল আলম বিদ্যুৎ, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মালিক পক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর শাহরিয়ার জাহান।

মালিকপক্ষ ও বাংলাদেশ মিশন থেকে ১০-১৫ জনের একটি দল জাহাজ পরিদর্শন করবে। সেখানে নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এ ছাড়া প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে জাহাজে থাকা কয়লা খালাস করে পুনরায় দেশের উদ্দেশে রওনা দেবে এমভি আবদুল্লাহ।

ইতোপূর্বে বাংলাদেশি কেএসআরএম গ্রুপের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা করে। পথিমধ্যে ভারত মহাসাগরে ২৩ জন নাবিকসহ সোমালিয় জলদস্যুদের কবলে পড়ে। গত ১৩ এপ্রিল মুক্তিপণ দিয়ে ১ মাস ২ দিন পর জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হয় জাহাজটি।