দেড় বছর আগে ৮৫ বছর বয়সী এক মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন তারই সন্তান। এরপর এ বাড়ি, ও বাড়িতে কোনো রকমে দিন কাটান। সবশেষ ১২ দিন আগে বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান কমপ্লেক্স সংলগ্ন সুলতান ঘাটের ওপর রাখা শিল্পী সুলতানের নৌকার নিচে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন বৃদ্ধা মা।
৮৫ বছরের ওই বৃদ্ধার নাম মায়া রাণী কুণ্ডু। তিনি নড়াইল শহরের কুড়িগ্রাম এলাকার কালিপদ কুণ্ডুর স্ত্রী। তার দুই ছেলে হলেন, দেব কুণ্ডু ও উত্তম কুণ্ডু। কয়েক বছর আগে উত্তম বিয়ে করে অন্য জায়গায় থাকায় আরেক ভাই ব্যবসায়ী মাকে দেখভাল করছিলেন। তিনি শহরের রূপগঞ্জ বাজারের বাঁধাঘাট এলাকার বাসিন্দা।
নৌকার নিচে রাত কাটছে বৃদ্ধার
গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করে দেব কুণ্ডু। পাশাপাশি তার খেতে-পরতে এবং থাকতে দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে মায়া রাণী কুণ্ডুকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেন স্থানীয় অমিত সাহা। সেখানে কয়েক মাস থাকেন ওই বৃদ্ধা।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মায়া রাণী কুণ্ডু বলেন, দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ছেলে ও ছেলের বউ আমাকে খেতে-পরতে ও থাকতে দেয় না। আমার পাঁচ শতাংশের একটি জায়গা ছিল। সেই জায়গা কয়েক লাখ টাকায় বিক্রি করেছে বড় ছেলে দেব কুণ্ডু। এরপর থেকে তারা খুব দুর্ব্যবহার করে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। কিছুদিন এখানে, ওখানে ছিলাম। এখন আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। স্থানীয়রা যা খেতে দেয় তাই খাই।
এ ব্যাপারে মায়া রাণীর ছেলে দেব কুণ্ডু বলেন, বউয়ের সঙ্গে বনিবনা হয় না তাই চলে গেছে। এতে আমার কিছুই করার নেই।
নড়াইলের ডিসি আনজুমান আরা বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাজীপুর কথা