ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

৩০ বছর পর অবশেষে বাতিল হলো ‘ঢলন’ প্রথা

প্রকাশিত: ০৩:০৪, ২৪ অক্টোবর ২০২০

৩০ বছর পর অবশেষে বাতিল হলো ‘ঢলন’ প্রথা

৩০ বছর পর অবশেষে বাতিল হলো দেশের সবচেয়ে বড় আমের হাট রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর বাজারের ‘ঢলন’ প্রথা। 
বানেশ্বর বাজারের বিভিন্ন আড়তে চাষিরা তাদের আম বিক্রি করতে গেলে এক মণ আমের ওজন ধরা হতো ৪৬ কেজি। অন্যান্য কৃষিপণ্যের মণ হতো ৪২ কেজিতে। ৪০ কেজির অতিরিক্ত কৃষিপণ্যকে ধরা হতো ‘ঢলন’ হিসেবে।

বানেশ্বর বাজারে ৩০ বছর ধরে এই ঢলন প্রথা চলে আসছিল। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন চাষিরা। ৩০ বছর পর অবশেষে সেই ঢলন প্রথা বাতিল করা হয়েছে।
শুক্রবার বানেশ্বর বাজার বণিক সমিতির কার্যালয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, চাষি, জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এক মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের এমপি ডা. মুনসুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু, ইউএনও নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুমানা আফরোজ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামশুন নাহার ভুঁইয়া, বানেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সুলতান। সভায় স্থানীয় চাষি এবং ব্যবসায়ীরাও উপস্থিত ছিলেন।

চাষিরা জানান, প্রায় তিন দশক ধরে তাদের এক মণে অতিরিক্ত কৃষিপণ্য ব্যবসায়ীদের দিতে হয়। দিতে না চাইলে তার কৃষিপণ্য কেনা হয় না। তারা আড়তদারদের কাছে জিম্মি। তারা এই ‘ঢলন’ প্রথা বাতিলের দাবি জানান। ইউএনও সিদ্ধান্ত দেন, এখন থেকে সব পণ্যের এক মণ হবে ৪০ কেজিতে। এর বেশি নেয়া যাবে না।

পুঠিয়ার ইউএনও নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ জানান, সারা দেশে ৪০ কেজিতে এক মণ। ব্যতিক্রম ছিল বানেশ্বর বাজার। অথচ এই বাজারেই রাজশাহীর মধ্যে সবচেয়ে বড় আমের হাট বসে। এখানে চাষিরা বছরের পর বছর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছিলেন। এক মণের জন্য আমের ওজন নেয়া হতো ৪৬ কেজি। পেঁয়াজসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের এক মণ হতো ৪২ কেজিতে। সেই প্রথা বাতিল করা হলো। এখন থেকে সব পণ্যের এক মণ হবে ৪০ কেজিতে।  

বানেশ্বর বাজার বণিক সমিতির সদস্য ওসমান আলী বলেন, ঢাকায় নেয়ার পথে কৃষিপণ্য পঁচে যায়। এ জন্য আমের ক্ষেত্রে ছয় কেজি এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য দুই কেজি বেশি নেয়া হতো। এখন থেকে এক মণ পণ্যের ওজন ৪০ কেজিই হবে। শুক্রবার থেকেই এটি কার্যকর করা হয়েছে।

গাজীপুর কথা