জাপানের দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলে ২৮৮ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন হাইশেন। এর ফলে গত কয়েকদিন ধরে বন্ধা রাখা হয়েছে গণপরিবহন। একই সঙ্গে পানির অতিরিক্ত চাপ এড়াতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বাঁধ।
জাপানের আবহাওয়া অফিসের বরাতে জাপান টুডে বলছে, এ ঘূর্ণিঝড় সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে আঘাত হানবে। এর ফলে বাতাসের মধ্যে চাপ বাড়বে ৯১৫ হেক্টোপাকাস। ফলে উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হবে। পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) দেশটির দক্ষিণঅঞ্চলীয় ওকাইনাওয়া অধিবাসীদের ঘরবাড়ি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে। এ ঝড়টি আমামি-ওসাইমা দ্বীপ এবং কুওয়াসুর মূল ভূখণ্ডে রোববার ও সোমাবারের দিকে মারাত্মক আঘাত হানতে পারে।
ওকিনাওয়ায় রোববার ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবানা রয়েছে। আমামিতে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে বিপদসীমার অতিক্রম করে সমুদ্রের ঢেউ উপকূলে আঘাত হানবে।
স্থানীয় প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসব অঞ্চলের মানুষদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। স্থানীয়দের সর্বোচ্চ সতর্কতার জন্য জরুরি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোকে সংরক্ষণ করতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।
কুওয়াসু রেলওয়ে করপোরেশন বলছে, লোকাল ট্রেন সার্ভিস সোমবার বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও হিরোশিমা এবং হাকাতা স্টেশনের মধ্যকার সব বুলেট ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে কিছু কিছু অঞ্চলে টেন চলাচলা বন্ধ রাখা হয়েছে।
গাজীপুর কথা
