বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামালের ৫০তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ বুধবার। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার দরুইন গ্রামে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন তিনি। একাই বীরের মতো যুদ্ধ করে সেদিন বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন তার সহযোদ্ধাদের প্রাণ।
ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার হাজিপুর গ্রামে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন মোস্তফা কামাল। তার বাবা হাবিলদার হাবিবুর রহমান ও মা মালেকা বেগম। তার স্ত্রীর নাম পিয়ারা বেগম। ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে কাউকে না জানিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগদান করেন তিনি। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা রেখেই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ওই বছরের ১৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে এগিয়ে আসা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে দরুইন গ্রামে অবস্থান নেয় সিপাহি মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল। মুক্তিযোদ্ধাদের তুলনায় হানাদাররা ছিল সংখ্যায় বেশি। যুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানিদের তীব্র আক্রমণের মুখে সঙ্গে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের নিরাপদে আখাউড়ার দিকে সরিয়ে তিনি সামনে থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এতে পাকিস্তানি বাহিনীর অনেকে হতাহত হলেও একপর্যায়ে মারাত্মক আহত অবস্থায় তাদের হাতে ধরা পড়ে যান মোস্তফা কামাল। পরে পাকিস্তানিরা বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে তাকে হত্যা করে।
১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ ডিসেম্বর তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
গাজীপুর কথা