১৯৭১ সালের মার্চের প্রথম দিন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলন চলছে। ৭ মার্চে কালজয়ী ভাষণের পর আন্দোলন আরও তীব্র হয়।
সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের পাশাপাশি চলছে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি চলে। আন্দোলনের প্রভাব পড়ে পশ্চিম পাকিস্তানেও। পশ্চিম পাকিস্তানের পত্রিকাগুলো তাদের সুর পাল্টে ফেলে।
পত্রিকাগুলো বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে পাকিস্তানের সামরিক সরকারকে চাপ দিয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করে।
পশ্চিম পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য পিপলস’ পত্রিকায় সেদিন ভুট্টোর কার্যকলাপের সমালোচনা করে। পূর্ব পাকিস্তানে অতিসত্বর জনপ্রতিনিধিদের কাছে শাসনভার বুঝিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
১০ মার্চ সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার নিজ বাসভবনে বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। তিনি বলেন, সাত কোটি বাঙালি আজ নিজেদের অধিকার সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন। যে কোনো মূল্যে তারা এই অধিকার আদায়ে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।
এ পর্যন্ত বাঙালিরা অনেক রক্ত দিয়েছে। এবার আমরা এই রক্ত দেয়ার পালা শেষ করতে চাই। বিকেলে ন্যাপের উদ্যোগে শোষণমুক্ত স্বাধীন বাংলার দাবিতে ঢাকা নিউমার্কেট এলাকায় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ সভাপতিত্ব করেন।
এছাড়া ‘লেখক-শিল্পী মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’-এর ব্যানারে লেখক ও শিল্পীরা রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
গাজীপুর কথা