ঢাকা,  মঙ্গলবার  ২৩ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

সেই অসহায় রহিমার পাশে যুবলীগ নেতা ছবির

প্রকাশিত: ১২:২৬, ১৬ জানুয়ারি ২০২১

সেই অসহায় রহিমার পাশে যুবলীগ নেতা ছবির

রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের জীবনদাসকাঠি গ্রামের অসহায় নারী রহিমা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঝালকাঠি যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী ছবির হোসেন। তাকে দিয়েছেন ঘরের জন্য দুই বান টিন, এক বস্তা চাল, আলু, তেল, দুটি কম্বল ও নগদ টাকা

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে রহিমা বেগমের হাতে এসব তুলে দেয়া হয়। এ সহায়তা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন রহিমা।

তিনি বলেন, স্বামী অসুস্থ, বিছানায় শুয়ে থাকে, ছেলে নাই। বহু কষ্টে শীতে কেঁপে আর বৃষ্টিতে ভিজে জীবন কাটে। ঝালকাঠির ছবির ভাই এসে অনেক কিছুই দিয়েছে। আল্লাহ তারে অনেক ভালো করুক।

রহিমা ও আব্দুল মান্নাফ দম্পতির তিন মেয়ে ও এক ছেলে। সংসারের বাড়তি উপার্জনের জন্য ২০ বছর বয়সে সাগরে মাছ ধরতে যান তাদের একমাত্র ছেলে। সেই যে গেল আর ফিরে এলো না। এদিকে বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছেন আব্দুল মান্নাফ (৮০)। স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে না পারায় শুয়ে বসেই দিন পার করেন তিনি। তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। জামাইরাও টেনেটুনে সংসার চালায়। ছোট মেয়েটা মায়ের কাছেই থাকে।

কখনো অন্যের বাড়িতে কাজ করে, আবার কখনো রাস্তার পাশে মাটি দেয়ার কাজ করে পরিবারের জন্য একবেলা আহারের চেষ্টা করেন রহিমা বেগম। এ অবস্থায় অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসার খরচ মেটানো অনেক কষ্টসাধ্য বিষয়। তাদের ঘরের অবস্থাও অনেক খারাপ। বাতাস এলেই ঘরটি নড়তে থাকে। যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে। বৃষ্টি হলেই ঘরের মধ্যে পানি পড়ে ভিজে যায় সবকিছু। শীতের সময় এলে শীতবস্ত্র ও শীত নিবারণের কোনো গরম কাপড় না থাকায় চটের বস্তা গায়ে দিয়ে ঘুমাতে হয়। খাবার ব্যবস্থা ও স্বামীর ওষুধের খরচ মেটাতে গেলে অন্যদিকে টাকা খরচের আর কোনো উপায় থাকে না।

অনলাইনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে রহিমা বেগমের এই অসহায়ত্বের কথা। বিষয়টি জানতে পেরে তার পাশে এসে দাঁড়ান যুবলীগ নেতা ছবির হোসেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি অসহায় রহিমার কথা। রাজাপুর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা জীবনদাশকাঠি অজপাড়ায় তার ঘর। সেখানে শনিবার দুপুরে গিয়ে দুই বান টিন, এক বস্তা চাল, আলু, তেল, দুটি কম্বল ও নগদ টাকা তার হাতে তুলে দিই।

তিনি আরও বলেন, নেয়ার চেয়ে দেয়ায় আনন্দ বেশি। তাই দিয়েই আনন্দ পাই। দিলে কমে না আল্লাহ আরও বাড়িয়ে দেন।

গাজীপুর কথা